আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা জাহিলিয়াত যুগের ন্যায় তোমাদের সৌন্দর্যকে প্রদর্শন করে চলো না।
ঈদকে ‘সার্বজনীন উৎসব’ করার নামে ঈদ বিরোধী সেন্টিমেন্ট তথা অশ্লীলতাসহ যাবতীয় শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ডের মচ্ছব করা হচ্ছে!
ঈদ ফ্যাশনের নামে ফ্যাশন হাউজগুলো বিজাতীয় ঢংয়ে প্রায় বিবস্ত্র পোশাকের অবাধ বিস্তার ঘটাচ্ছে।
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম-এর এদেশে ফ্যাশন হাউজগুলো যে রকম ইচ্ছা সে রকমই পোশাক বাজারজাত করতে পারে না।
মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে যে সমস্ত পোশাক সেগুলোর বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে হবে।
আর এ রকম পোশাকের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
ঈদকে ‘সার্বজনীন উৎসব’ করার নামে ঈদ বিরোধী সেন্টিমেন্ট তথা অশ্লীলতাসহ যাবতীয় শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ডের মচ্ছব করা হচ্ছে!
ঈদ ফ্যাশনের নামে ফ্যাশন হাউজগুলো বিজাতীয় ঢংয়ে প্রায় বিবস্ত্র পোশাকের অবাধ বিস্তার ঘটাচ্ছে।
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম-এর এদেশে ফ্যাশন হাউজগুলো যে রকম ইচ্ছা সে রকমই পোশাক বাজারজাত করতে পারে না।
মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে যে সমস্ত পোশাক সেগুলোর বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে হবে।
আর এ রকম পোশাকের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইদানীংকালে ইহুদীরা মুসলমানগণের মধ্যে ‘ঈদ সার্বজনীন উৎসব’- এ শ্লোগানের জোর প্রচারণা চালাচ্ছে (!) এর অর্থ হল কথিত ঈদ আনন্দ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী সবাই এক সাথে উপভোগ করবে। আর তারা যখন একসাথে এ আনন্দ উপভোগ করবে তখন আর কোনো শরীয়তী লাগাম থাকবে না। তারা নাচ-গান, সিনেমা, অশ্লীলতা, শরাব আর বেলেল্লাপনার উদ্যমতা নিয়েই তথাকথিত ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে চাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে হাজারো শরীয়ত বিরোধী কর্মকা- ও অশ্লীল পোশাক বাজারজাত করার প্রেক্ষিতে এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব নছীহত করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এর দ্বারা মূলত মুসলমানগণের পবিত্র ঈদ আনন্দের মধ্যে সার্বজনীনতার নামে, বিধর্মীদের শরীক রাখার নামে ঈদের মধ্যেও তাদের বিজাতীয় সংস্কৃতি ও অশ্লীলতা ঢুকিয়ে মুসলমানগণের মধ্য থেকে প্রকৃত ঈদের চেতনা উঠিয়ে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রের বিস্তার করা হচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই ব্যক্তির জন্য ঈদ যে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ তার গুনাহখাতা মাফ করাতে পেরেছে। আর কুরবানী সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে কুরবানী দিবে না সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।” অতএব দেখা যাচ্ছে যে, ঈদ সম্পূর্ণই ধর্মীয় তথা পবিত্র উৎসব। কাজেই ঈদ আনন্দের নামে হৈ-হুল্লোড়, অশ্লীল পোশাক, অশ্লীল আনন্দ ইত্যাদি পরিহারে মুসলমানকে অনিবার্যভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজকাল তথাকথিত ফ্যাশন হাউজগুলো যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে, বিজাতীয় প্রায় বিবস্ত্র কায়দায় পোশাক বাজারজাত করছে! পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে, তারা ঢালিউড, বলিউড, হলিউড ইত্যাদির অনুকরণে সংক্ষিপ্ত ও পাতলা পোশাক বাজারজাত করছে। অথচ এটা হচ্ছে কিয়ামতের আলামত। কারণ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “কিয়ামতের পূর্বে মেয়েরা এমন পোশাক পরবে যে তাদের সবকিছুই দেখা যাবে।” নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা জাহিলিয়াত যুগের ন্যায় তোমাদের সৌন্দর্যকে প্রদর্শন করে চলো না।”
কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেন, “হে নবী! আপনি আপনার আহলিয়া ও কন্যাগণকে এবং মু’মিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না।” (সূরা আহযাব : আয়াত শরীফ ৫৯)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, উপরোক্ত আয়াত শরীফ-এর প্রেক্ষিতে প্রমাণিত হয় যে, মেয়েদের দৈহিক সৌন্দর্য প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ হারাম ও কাট্টা কবীরা গুনাহ। আর মেয়েদের যদি বের হতে হয় তাহলে তাদের দেহের পোশাক প্রদর্শন করা চলবে না। বরং দেহের পোশাকের ওপরে আলাদা বড় চাদর জড়িয়ে বা বোরকা পরে বেরোতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে এদেশে ফ্যাশন হাউজগুলো ফ্যাশনের নামে যেসব বিজাতীয় ও বেপর্দা পোশাক বাজারজাত করছে তা মুসলমানগণের ধর্মীয় অনুভূতির খিলাফ ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিবিসি পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছে যে, উগান্ডায় মিনিস্কার্ট পরা নিষিদ্ধ হচ্ছে। কারণ মিনিস্কার্ট পরা মেয়েলোক দেখলে পুরুষরা উত্তেজিত হয়ে গাড়ি চালনা ভুল করে দুর্ঘটনা ঘটায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, উগান্ডা কর্তৃপক্ষ দুনিয়াবী দৃষ্টিতে শুধু এটাই দেখেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মেয়েরা বেপর্দা পোশাকে চললে শয়তান পুরুষের দৃষ্টিতে তাকে লোভনীয় করে দেখায় এবং সে মেয়ের দ্বারা প্রতি মুহূর্তে লক্ষ কোটি ব্যভিচারের গুনাহ করিয়ে দেয়। আর তাতে করে পুরো দেশ-জাতির মধ্যে নেমে আসে লা’নত। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, দেশে হারাম সিনেমা সেন্সর করার জন্য একটা তথাকথিত সেন্সর বোর্ড রয়েছে। কিন্তু সিনেমা হয় ৩ ঘণ্টার জন্য এবং তাতে সীমিত সংখ্যক লোক থাকে। তাদের পোশাক-আশাক চলাফেরা সেন্সর করার জন্যই যদি সেন্সর বোর্ড থাকে তাহলে বাকি ২৪ ঘণ্টা লক্ষ কোটি মেয়েলোক যে সংক্ষিপ্ত পোশাকে বেহায়ার মত চলাফেরা করছে তাদের পোশাক ও চলাফেরাও সেন্সর করার জন্য তো তাদের দুনিয়াবী দৃষ্টিতেই কথিত সেন্সর বোর্ড থাকা প্রয়োজন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- এদেশে ফ্যাশন হাউজগুলো যে কায়দায়, যে ঢংয়ে পোশাক বাজারজাত করছে এটা শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। এসব পোশাকের প্রচলন মুসলমানগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে তীব্র আঘাতস্বরূপ এবং মুসলমানগণের ধর্ম অবমাননা করার শামিল।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্তমান বেপর্দা বেহায়ার জন্য মূলত ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘ছূ’রাই দায়ী। কারণ কুরআন শরীফ-এ পর্দা ফরয হওয়ার পরও তারাই নারী নেতৃত্বের সাথে হরদম দেখা-সাক্ষাৎ করছে, পাশাপাশি বসে মিটিং করছে এমনকি এক সাথে বসে হারাম ছবিও তুলছে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এসব ধর্মব্যবসায়ীরা বর্তমানে ফ্যাশন হাউজগুলোর বেপর্দা-বেহায়ার বিরুদ্ধে কিছুই বলছে না। তারা সম্পূর্ণই নীরব ভূমিকা পালন করছে। হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় তারা হলো বোবা শয়তান ও যমীনের ওপর নিকৃষ্ট প্রাণী। তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশের সরকারকে শুধু ফ্যাশন হাউজগুলোর বেপর্দা-বেহায়া পোশাক সেন্সর করার জন্য সেন্সর বোর্ড গঠন করলেই চলবে না পাশাপাশি ইসলামের নামে ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশে ধর্মবিরোধী ও ধর্মব্যবসায়ী মুক্ত সমাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন