কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার রহমত মুহসিনীন বা ওলীআল্লাহগণ উনাদের নিকটে।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিলাদত শরীফ রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশের কারণ।
তাই সকলের উচিত- আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত-এর হিসসা লাভ করা।
হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিলাদত শরীফ রহমত, বরকত ও খুশি প্রকাশের কারণ।
তাই সকলের উচিত- আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত-এর হিসসা লাভ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিলাদত শরীফ রহমত, বরকত, সাকীনা, ও খুশি প্রকাশের কারণ। তাই সকলের উচিত- আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে রহমত, বরকত সাকীনা, মাগফিরাত ও নাযাত-এর হিসসা লাভ করা।
ক্বায়িম-মক্বামে মুজাদ্দিদে আ’যম, মুজাদ্দিদে ছানী, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ ৯ই রমাদ্বান শরীফ উপলক্ষে এক ক্বওল শরীফ-এ তিনি এ কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব যিনি কুল-কায়িনাতের জন্য নবী ও রসূল, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আম্বিয়া : আয়াত শরীফ ৭)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রহমতের হিসসা লাভ করে রহমতের অধিকারী হয়েছেন অন্যান্য সমস্ত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা। একইভাবে রিসালতের যুগ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তথা আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার যাঁরা ক্বায়িম-মক্বাম ওলীআল্লাহ উনারা সেই রহমতের হিসসা পেয়ে রহমতের অধিকারী হয়েছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি বরকতময় যিয়ারত ও ছোহবত মুবারক-এর মাধ্যমে রহমত লাভ করে নিজেদেরকে ধন্য করেছেন। কিন্তু পরবর্তী লোকেরা রহমত লাভ করবে কিভাবে- সে বিষয়টি উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা করেছেন যে, তাদেরকে রহমত লাভ করতে হলে যাঁরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রকৃত উত্তরসূরি বা ওয়ারিছ অর্থাৎ ক্বায়িম-মক্বাম উনাদের ছোহবতে যেতে হবে। সে বিষয়টি তিনি ইরশাদ করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার রহমত ওলীআল্লাহগণ উনাদের নিকটে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কিতাবে একটি ওয়াকিয়া বর্ণিত রয়েছে, জনৈক ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এক ওলী উনার দরবারে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, হুযূর! অনেক লোককে দেখা যায় তারা ইন্তিকাল করার সময় তাদের আল-আওলাদ, প্রতিবেশীকে ওসিয়ত করে যায় যে, আমি ইন্তিকাল করলে আমাকে কোনো ওলীআল্লাহ উনার মাযার শরীফ-এর পাশে দাফন করবে। আমার প্রশ্ন হলো- ওলীআল্লাহ উনার মাযার শরীফ-এর পাশে দাফন করলে কি ফায়দা রয়েছে?
তখন ছিলো গরমের দিন। যে ওলীআল্লাহ উনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো উনাকে পিছন দিক থেকে উনার এক খাদিম বাতাস করছিলেন। আর সেই বাতাসের হিসসা পাশে বসে থাকা প্রশ্নকারীর শরীরেও লাগছিলো। মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তিনি প্রশ্নকারীকে বললেন, হে ব্যক্তি! আমার খাদিম আমাকে যে বাতাস করছে তা কি তোমার শরীরে লাগছে? সে ব্যক্তি বললো, জি হুযূর! তিনি বললেন, কেন তোমার গায়ে লাগছে? সে বললো, আমি যে আপনার নিকটে বসে আছি সে জন্য। তখন ওলীআল্লাহ তিনি বললেন দেখো, আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার রহমত উনার যাঁরা ওলী উনাদের নিকটে।
তিনি বললেন, তুমি আমার নিকটে বসে থাকার কারণে তোমাকে বাতাস না করা সত্ত্বেও যেমন বাতাসের হিসসা লাভ করছো তদ্রƒপ মহান আল্লাহ পাক উনার যাঁরা ওলী উনারা যমীনে অবস্থান করুন অথবা বিছাল শরীফ-এর পর মাযার শরীফ-এ অবস্থান করুন সব অবস্থায়ই উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত বর্ষিত হতে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওলীআল্লাহগণ উনারা মাযার শরীফ-এ অবস্থানকালে উনাদের মাযার শরীফ-এর পাশে যাকে দাফন করা হয় সে ব্যক্তি ওলীআল্লাহ উনার প্রতি বর্ষিত রহমতের হিসসা লাভ করে থাকে। সে যদি গুনাহগারও হয় সেই ওলীআল্লাহ উনার উসীলায় তার গুনাহখতা ক্ষমা করে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওলীআল্লাহ যমীনে অবস্থানকালে উনাদের যারা ছোহবতে যান তারা রহমত লাভ করার কারণে তারা হাক্বীক্বী হিদায়েত লাভ করেন, তাদের আক্বীদা শুদ্ধ হয়, তাদের আমল শুদ্ধ হয়, তারা শরীয়ত ও সুন্নতের পূর্ণ পাবন্দ হন, তারা ইখলাছ বা খুলূছিয়ত লাভ করেন এক কথায় তারা কামিল মুসলমান রূপে পরিগণিত হন। যে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক বান্দাকে সতর্ক করে দিয়ে ইরশাদ করেছেন যে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। আর তোমরা কামিল ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যুগে উনাদের অনুসরণ না করলে যেরূপ ধ্বংস অনিবার্য তদ্রƒপ আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কায়িম-মক্বাম বা স্থলাভিষিক্ত হিসেবে যুগের যে ওলীআল্লাহ যমীনে অবস্থান করেন উনার অনুসরণ না করলেও লোকেরা গুমরাহ বা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং পরিণামে তারাও কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হাদীছ শরীফ-এর বরাত দিয়ে বলেন, হিজরী শতাব্দীকালে মহান আল্লাহ পাক যামানার মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন এবং একজন মুজাদ্দিদ উনার উপস্থিতিতে অতঃপর পরবর্তী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত মুজাদ্দিদে যামানের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে হিদায়েতের কাজ করেন যিনি নায়িবে মুজাদ্দিদ তিনি। বলার অপেক্ষা রাখে না, মুজাদ্দিদে যামানের যিনি গদীনশীন হন তিনিই মূলত মূল নায়িবে মুজাদ্দিদ।
এ হিসেবে বর্তমান পঞ্চদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার পরবর্তীতে গদীনশীন হলেন উনার একমাত্র শাহযাদা ক্বায়িম-মক্বামে মুজাদ্দিদ আ’যম, খলীফাতুল উমাম, আওলাদে রসূল, ইমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, নিশ্চয়ই ওলীআল্লাহ উনাদের আলোচনা করা, ছানা-ছিফত বর্ণনা করা রহমত হাছিলের কারণ। কাজেই উনাদের যারা ছানা-ছিফত করবে তারা রহমত লাভ করবে, হিদায়েত লাভ করবে, নাজাত লাভ করবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ওলীআল্লাহ উনাদের উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষদেরকে যমীনে ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক, ইখলাছ দান করেন এবং কবরে, হাশরে, হাউজে কাওছারে, মীযানে, পুলছিরাতে সব স্থানে সুপারিশের ব্যবস্থা করে দেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন- অতএব, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জ্বিন-ইনসানের জন্য ফরয হলো- ওলীআল্লাহ উনাদের হাক্বীক্বী ফযীলত উপলব্ধি করে উনাদের নিকট বাইয়াত হয়ে ছোহবত ইখতিয়ার করে প্রকৃত মু’মিন মুসলমান হওয়ার কোশেশ করা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন