বাংলাদেশে ছবি, ভোট, গণতন্ত্রের মতো হারাম বিষয়গুলো চাপিয়ে দিয়ে কাফির মুশরিকরা নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হারাম থেকে হারাম ব্যতীত অন্য কিছু বের হয় না। আরো ইরশাদ করেন, তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেকী ও পরহেজগারিতে সাহায্য করো, পাপে ও শত্রুতাতে সাহায্য করো না।
আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অজুহাতে ছবিযুক্ত ভোটার কার্ড বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) তৈরি করতে মুসলমান জনগোষ্ঠীকে বাধ্য করলেও হারাম গণতন্ত্রের প্রবর্তক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দিতে ছবির প্রয়োজন হয় না।
৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে ছবি, ভোট, গণতন্ত্রের মতো হারাম বিষয়গুলো চাপিয়ে দিয়ে কাফির মুশরিকরা নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। অথচ মুসলমানরা ইসলাম থেকে সরে গিয়ে ঈমানহারা হয়ে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অজুহাতে ছবিযুক্ত ভোটার কার্ড বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) তৈরি করতে মুসলমান জনগোষ্ঠীকে বাধ্য করলেও হারাম গণতন্ত্রের প্রবর্তক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দিতে ছবির প্রয়োজন হয় না।
৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে ছবি, ভোট, গণতন্ত্রের মতো হারাম বিষয়গুলো চাপিয়ে দিয়ে কাফির মুশরিকরা নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। অথচ মুসলমানরা ইসলাম থেকে সরে গিয়ে ঈমানহারা হয়ে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি ভোটার কার্ডের মতো অপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য ছবি তুলতে মুসলমানগণকে সরকার বাধ্য করায় সে বিষয়ে নছীহত প্রসঙ্গে উপরোক্ত ক্বওল শরীফ উল্লেখ করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মানুষ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র বহন করছে, যেমন- ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছবি ছাড়াও বিশেষ কার্ড ব্যবহার করছে; যেমন- ব্যাংকের কার্ড, অফিস-আদালতে সিকিউরিটি কার্ড ইত্যাদি। অথচ সকল ক্ষেত্রে ও সকল প্রকার পরিচয়পত্রে এবং বিশেষক্ষেত্রে ব্যবহারের কার্ড ছবি ছাড়া শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে তৈরি করা সম্ভব এবং করা উচিত অর্থাৎ দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বিভ্রান্ত শাসকরা যেহেতু তাদের নফসের অনুসরণকারী ও দুনিয়া তালাশী, তাই তারা যেখানে শরীয়তের নির্দেশ আসে তখন তা প্রগতিশীলতা, আধুনিকতার বিপরীত বলে অনুসরণ না করে কাফির-মুশরিকদের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে। গণতন্ত্রের মুখস্থ বুলি হচ্ছে- সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয় গ্রহণযোগ্য। তবে ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে কেন হারাম ছবির এত ব্যাপক প্রচার-প্রসার হবে? মুসলমানগণ তো ছবির ব্যবহার চায় না। এক্ষেত্রে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুসরণ না করে নগণ্য সংখ্যক কাফির, মুশরিকদের গোলামী ও সন্তুষ্টির জন্য; মূলত তাদের নফসের সন্তুষ্টি ও দুনিয়া হাছিলের জন্য তারা ছবির মতো হারাম বিষয় আমাদের মুসলিম দেশে চাপিয়ে দিচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমিষ সম্প্রদায়’ নামে খ্রিস্টান ধর্মের কিছু গোঁড়া অনুসারী আছে; যাদের সংখ্যা প্রায় ২,৫০,০০০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেটের কাছে প্রায় ১০০ বর্গ মাইল এলাকাজুড়ে এদের বসবাস। এ গোঁড়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়টি আধুনিক গাড়ির পরিবর্তে ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে, বিদ্যুৎ ব্যবহার করে না অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তির অনেক কিছুই ব্যবহার করে না। যেহেতু তাদের নবী যীশু খ্রিস্ট (হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম) তিনি এসব ব্যবহার করেননি, তাই তারা ব্যবহার করে না। তারা ছবি তোলার বিপক্ষে। তারা সামাজিক নিরাপত্তা কর (Social Security Tax) ইত্যাদি দিতে, জীবন বীমা করতে, ইনস্যুরেন্স করতে অনাগ্রহী। অথচ তাদের দেশের সরকার তাদের এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এত বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের ধার্মিক মুসলমানদের উপর একের পর এক কাফিরদের বানানো রীতি-নীতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি সবশেষে বলেন, ছবি ছাড়া শুধু পরিচয়পত্রই নয়, বরং যত জায়গায় ছবির ব্যবহার করা হচ্ছে সব জায়গা থেকে ছবি দূর করে শরীয়তসম্মত পদ্ধতি চালু করতে হবে। আর জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এসব ক্ষেত্রে ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতি চালু করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন