রমজান শরীফ-এর পবিত্রতা রক্ষার্থে গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, রমাদ্বান শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস। যে ব্যক্তি রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম-তাকরীম করবে তাকে জান্নাত দান করা হবে এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দেয়া হবে।
তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’-এর তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম থেকে বিরত থাকার সাথে সাথে
রমাদ্বান শরীফ-এ দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা।
আর প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’-এর তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম থেকে বিরত থাকার সাথে সাথে
রমাদ্বান শরীফ-এ দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা।
আর প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাসের তুলনায় রমাদ্বান শরীফ তদ্রƒপ মর্যাদাবান। যেসব উসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে জান্নাতে দাখিল করেন- রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাসের ইবাদত-বন্দিগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম উসীলা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, রমাদ্বান মাসের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাযাতের। রমাদ্বান শরীফ-এর বুযূর্গী সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক-উনার মাস রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করলো আল্লাহ পাক তাকে জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, কিতাবে উল্লেখ আছে যে, একজন বুযূর্গ ব্যক্তি একবার স্বপ্নে দেখেন- এক ইহুদী মহিলা জান্নাতে বিচরণ করছে, খুব আরাম-আয়েশে আছে। বুযূর্গ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে মহিলা! তুমি তো ইহুদী ছিলে, তুমি কি করে জান্নাতে গেলে? ইসলাম আসার পর ইসলাম গ্রহণ না করে যে সকল বিধর্মী মারা যাবে তারা তো জান্নাতে যেতে পারবে না বরং তারা চির জাহান্নামী হবে।’ জবাবে ইহুদী মহিলা বললো, ‘হে বুযূর্গ ব্যক্তি! মহান আল্লাহ পাক একটি আমলের উসীলায় আমাকে ঈমান দান করেছেন ও ইন্তিকালের পর জান্নাত নছীব করেছেন।’ বুযূর্গ ব্যক্তি বললেন, ‘কোন আমলের উসীলায় তুমি নাজাত পেলে?’ ইহুদী মহিলা বললো, ‘আমার ইন্তিকালের পূর্বে যে রমাদ্বান শরীফ ছিলো সেই রমাদ্বান শরীফ-এর দিনের বেলায় আমি আমার ছোট সন্তানকে নিয়ে কিছু খাদ্য খরীদ করার জন্য বাজারে যাই। তখন আমার ছোট সন্তানকে কিছু রুটি-বিস্কুট কিনে দেই। সে সন্তান রুটি-বিস্কুট পেয়ে সাথে সাথে খেতে শুরু করে। যেহেতু সে অবুঝ শিশু। তখন আমি তাকে একটি আঘাত করে বলি, হে বালক! এটা মুসলমানগণের পবিত্র মাস। এ মাসে প্রকাশ্যে কিছু খেতে হয় না। এ মাসকে সম্মান করা উচিত।’ এ কথা বলে আমি তার হাত থেকে রুটিটি নিয়ে নেই। ইহুদী মহিলা বললো, পবিত্র রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম করার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ঈমানের সাথে ইন্তিকাল দান করে জান্নাত নসীব করেন।’ সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এখন ফিকিরের বিষয় যে, একজন অমুসলিম রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম করার কারণে যদি তার ঈমান ও জান্নাত নছীব হয়, তবে যদি কোন মুসলমান পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-কে তা’যীম করে তবে সে কতটুকু ফযীলত লাভ করবে তা সত্যিই চিন্তা-ফিকিরের বিষয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অথচ আজকাল মুসলমাগণই পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর গুরুত্ব, সম্মান ও পবিত্রতা বুঝে না ও মানে না। নাঊযুবিল্লাহ! তারা রমাদ্বান শরীফ-এ প্রকাশ্যে খানাপিনা করে, বেপর্দা চলে, গানবাজনা, সিনেমা-নাটক, নোবেল, খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এসমস্ত হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব। এছাড়াও প্রত্যেক মুসলমানের উচিত পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকা, হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা। তবে স্টেশনে প্রয়োজনে অর্থাৎ মুসাফির, অসুস্থ ব্যক্তিদের সুবিধার্থে দুই একটি হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যেতে পারে। অবশ্য তাও প্রকাশ্যে নয়, গোপনে। অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থেকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম-তাকরীম করা ও এর পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের জন্যই ফরয ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, এখন দেখা যায়- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি খোলা রাখা হয়। এবং নানা পরীক্ষা, কোচিং ইত্যাদির নামে ছাত্র-ছাত্রীদের এমন ব্যস্ত রাখা হয় যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা অধিকাংশই রোযা রাখে না। অথচ তারা মুসলমান। রোযা তাদের দ্বীনের প্রধান ভিত্তি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী-নাছারারা জানে কী করে মুসলমানদের শক্তিহীন ও দুর্বল করতে হয়। তারা জানে মুসলমানরা যখন আল্লাহ পাক-উনার রহমত যুক্ত থাকে তখন তাদের পরাস্ত করা দুনিয়ার কোন শক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। ইহুদী নাছারারা এমন ষড়যন্ত্র করছে যাতে করে মুসলমানদের রহমতশুন্য করা যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ইহুদী, মুশরিক, নাছারারা ছবি ও বেপর্দার পাশাপাশি রমাদ্বান শরীফ-এও মুসলমানদের নানা ছূতা-নাতায় ব্যস্ত রেখে তাদেরকে রহমতশূন্য করে রাখে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আরো বেশি পরীক্ষা, কোচিং, পড়া-লেখার চাপ ইত্যাদি দেয়া হয়। অনেক সময় ঈদের পর পরই বিশেষ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। তাতে করে সে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়েও রোযা রাখে না। অর্থাৎ মুসলমান শিক্ষার্থীদেরকে রোযা থেকে বিরত রাখাই তাদের উদ্দেশ্য ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর সম্মানার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে সব মুসলিম দেশের সরকারের একান্ত কর্তব্য হচ্ছে- গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম থেকে মুসলমানদেরকে বিরত রাখা। এর পাশাপাশি চাকুরীজীবিদের সময়কে সংক্ষিপ্ত করা এবং স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হোটেল রেস্তোরা বন্ধ রাখা। যাতে করে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর সাহরী, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, যিকির-ফিকির, তাছবীহ-তাহলীল, ইফতারী, তারাবীহ নামায ইত্যাদি যথাযথভাবে ইতমিনানের সাথে পালন করে রমাদ্বান শরীফ-এর ফযীলত তথা রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত পরিপূর্ণ হাছিল করতে পারে। যদি প্রত্যেক মুসলিম বিশ্বের সরকার এরূপ ব্যবস্থা করে এবং মুসলমানরা রমাদ্বান শরীফ-এর হক্ব আদায় করে পরিপূর্ণ রহমত অর্জন করতে পারে তবে দুনিয়ার সব শক্তিই মুসলমানদের কাছে পদানত থাকবে। কাজেই মুসলমানদেরকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর রহমত অর্জনে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন