সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বেমেছাল ফযীলতযুক্ত ১৭ই রমাদ্বান শরীফ

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান- মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে। (সূরা ইব্রাহীম : আয়াত শরীফ ৫)
আজ বেমেছাল ফযীলতযুক্ত ১৭ই রমাদ্বান শরীফ। এ দিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম,
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম এবং
ইসলামের চতুর্থ খলীফা, আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের মহাসম্মানিত বিছাল শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
ইসলামের প্রথম জিহাদ যা বদর জিহাদ হিসেবে মশহুর সেই দিবস।
অতএব প্রত্যেক মুসলমানসহ সব মুসলিম সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে এ দিনের গুরুত্ব অনুধাবনে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এ দিনে সরকারীভাবে ছুটির ঘোষণা করা।
এবং সরকারি ও বেসরকারিভাবে বেমেছাল তা’যীম-তাকরীম ও ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথভাবে পালনের ব্যবস্থা করা।
 
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ফরমান- মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দীদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে। (সূরা ইবরাহীম : আয়াত শরীফ ৫)

আজ মহান ১৭ই রমাদ্বান শরীফ- ইসলামের ইতিহাসে এক বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ, রহমতপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং আলাদা বৈশিষ্ট্যম-িত দিন। এ দিন উম্মুল মু’মিনীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম এবং ইসলামের চতুর্থ খলীফা, আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের মহাসম্মানিত বিছাল শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

এছাড়া ইসলামের প্রথম জিহাদ অর্থাৎ বদরের জিহাদ সংঘটিত হয় এ দিনেই। সুবহানাল্লাহ!

এ মহিমান্বিত দিনের বুযুর্গী, ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে গতকাল এক ক্বওল শরীফ-এ যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এ সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান- “উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যে দিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যে দিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যে দিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় বলেন, এ আয়াত শরীফ থেকে প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানসহ কায়িনাতের সকলের জন্যই জানা জরুরী যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ উভয়টিই উম্মতের তথা কায়িনাতের জন্য বেমেছাল ফযীলত, ইতমিনান রহমত হাছিল এবং খুশির কারণ। যেহেতু এতে স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি খুশি থাকেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একদিকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবীগণের অন্তর্ভুক্ত। আরেকদিকে উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহাল তথা আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি উনারা হচ্ছেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আহলিয়া বা আযওয়াজে মুত্বাহহারাত।

আবার অন্যদিকে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচাতো ভাই। অপরদিকে পরম আদরের দুলালী সাইয়্যিদাতু নিসায়ী আহলিল জান্নাহ হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নিবেদিত স্বামী। দ্বিতীয় হিজরীতে উনাদের আযীমুশ শান নিকাহ মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে অন্যতম।

মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা : আয়াত শরীফ ২৩)

আর আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন, আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, পূর্ববর্তী উম্মতগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা হচ্ছেন হযরত মরিয়ম বিনতে ইমরান আলাইহাস সালাম ও পরবর্তী উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নারী হচ্ছেন হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ আলাইহাস সালাম।” (বুখারী, মুসলিম, আহমদ, কানযুল উম্মাল, মিশকাত-৫৭৩)

উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, একদা হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই যে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি একটি পাত্র নিয়ে আসছেন। এতে তরকারি ও খাবার দ্রব্য রয়েছে। তিনি যখন আপনার নিকট আসবেন তখন আপনি উনাকে উনার রব তায়ালা উনার পক্ষ হতে এবং আমার পক্ষ হতে সালাম প্রদান করবেন এবং উনাকে জান্নাতের মধ্যে মুক্তাখচিত এমন একটি প্রাসাদের সুসংবাদ প্রদান করবেন, সেখানে না কোন হৈ হুল্লাড় না কোন কষ্ট রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত সালামের জাওয়াব দিলেন এভাবে, “আসসালাম্ ুআলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া আলা হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম ওয়া ইন্নাল্লাহা হুওয়াস সালাম।” অর্থাৎ ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার প্রতি সালাম এবং হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার প্রতিও আমার সালাম। আর আল্লাহ পাক তিনি তো নিজেই সালাম (শান্তিদাতা)। তিনি অন্য কারো সালামের মুহতাজ বা মুখাপেক্ষী নন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছাল শরীফ এরপর সুওয়াল-জাওয়াবের ঘটনা উল্লেখ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার দাফন মুবারক সম্পন্ন করার পর আমি মুনকার-নাকীর ফেরেশতাদ্বয় আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুওয়ালের জাওয়াব দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসে আমাকে জানালেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি জন্য এখানে অপেক্ষা করছেন? আপনি যে কারণে এখানে অপেক্ষা করছেন তা তো ফায়ছালা হয়ে গেছে। স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মুনকির-নাকীর ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ডেকে উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার তরফ থেকে সুওয়ালের জাওয়াব দিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এত মর্যাদাসম্পন্না যে উনার সুওয়াল-জাওয়াব হবে না। সুবহানাল্লাহ! আপনাকে এ সংবাদ জানানোর জন্যই আমাকে পাঠানো হয়েছে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জীবনে বহু দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন, শোকাহত হয়েছেন। পরম প্রিয় সন্তান-সন্ততি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। কিন্তু উনার সর্বশ্রেষ্ঠা আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার বিছাল শরীফ-এর মতো কখনো শোকাহত হননি। এজন্য এ বছরটিকে আমূল হুজুন বা শোকের বছর বলা হয়ে থাকে।

আবার এ দিনেই উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনিও বিছাল শরীফ লাভ করেন। উনার বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ফরমান, মহিলাদের মধ্যে আমার নিকট হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম ও পুরুষদের মধ্যে উনার পিতা হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সর্বাধিক প্রিয়।” (মুসলিম, বুখারী, ইবনে মাজাহ, কানযুল উম্মাল ৩৪৩৪৫)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে ইরশাদ করেন, “তোমরা দ্বীনি ইলম হুমায়রা অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে গ্রহণ করবে।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, অন্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে- হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ফযীলত অন্যান্য মহিলাদের উপর এত বেশি যেমন খাদ্য বা তরকারির মধ্যে লবণের ফযীলত বা শ্রেষ্ঠত্ব।” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, কানযুল উম্মাল, মিশকাত ৫০৯)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত হয়েছে, “হযরত মুসলিম আল বাত্বীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি জান্নাতে আমার আহলিয়া হিসেবে থাকবেন।” (ইবনে সা’দ, কান্যুল উম্মাল)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, “হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফক্বীহ, সবচেয়ে বেশি জানা ব্যক্তি এবং আম জনতার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মতামতের অধিকারিণী।” (আল মুসতাদরিক-৪/১১)

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল ফযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে বলেন, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘হযরত হারুন আলাইহিস সালাম তিনি যেমন ছিলেন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার নিকট তেমনি আপনি হচ্ছেন আমার নিকট। অর্থাৎ প্রতিনিধি। তবে আমার পরে কোন নবী নেই।’’ সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘‘আমি হচ্ছি ইলমের শহর, আর হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সেই শহরের দরজা।’’ সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তরীক্বতপন্থীগণের ইমাম। তরীক্বতের অধিকাংশ সিলসিলা উনার মাধ্যমে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। তিনি ছিলেন, কুরআনে হাফিয, শ্রেষ্ঠ মুফাসসির এবং হাদীছ শরীফ বর্ণনাকারী রাবী।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, খিলাফত লাভের পূর্বে তিনি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ফারূকে আ’যম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত যুন নুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনাদের খিলাফতকালে পরামর্শদাতা ছিলেন। হযরত যুননুরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার শাহাদতের পর হিজরী ৩৫ সনে খিলাফতের বাইয়াত করান। চার বছর সাড়ে আট মাস যাবৎ এ দায়িত্ব যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, আজ ১৭ই রমাদ্বান। ঐতিহাসিক বদরের জিহাদ এই দিনই সংঘটিত হয়। আর বদরের জিহাদই ইসলামের প্রথম জিহাদ।

উল্লেখ্য, বদরের জিহাদে মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি ফেরেশতা পাঠিয়ে সাহায্য করেন। কুরআন শরীফ-এ সূরা আলে ইমরানে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “বস্তুত আল্লাহ পাক তিনি বদরের জিহাদে আপনাদের সাহায্য করেছেন, অথচ আপনারা ছিলেন অল্প সংখ্যক। কাজেই আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করতে থাকুন, যাতে আপনারা কৃতজ্ঞ হতে পারেন।

আপনি যখন বলতে লাগলেন মু’মিনগণকে, আপনাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, আপনাদের সাহায্যার্থে আপনাদের পালনকর্তা আসমান থেকে অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন।” (সূরা আলে ইমরান : আয়াত শরীফ ১২৩, ১২৪)

বায্যার এবং হাকেমের বর্ণনায় এসেছে, “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু করার সময় আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে এবং হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবু বকর ছিদ্দীক্ব (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) আপনার সঙ্গে রয়েছেন হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। আর হে আলী (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!) আপনার সঙ্গে রয়েছেন হযরত মিকাঈল আলাইহিস সালাম। আর হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তিনিও তার বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত।

আর বদরের জিহাদে যেসব ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ শরীক হয়েছিলেন উনাদের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আপনারা যা ইচ্ছা করুন।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, যেসব ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বদরের জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন এবং শাহাদত গ্রহণ করেছেন উনাদের মর্যাদা সর্বাগ্রে।

বদরের জিহাদ তথা এ শাহাদত দিবস সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, বদরের জিহাদ হচ্ছে মুসলমানদের প্রথম জিহাদ। যে জিহাদে মুসলমানরা ছিলেন মাত্র ৩১৩ থেকে ৩১৫ জন। আর কাফিরের সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও বেশি। ইসলামের চিরশত্রু আবু জাহিলসহ কাফিরদের ১১ জন বড় বড় নেতা এ জিহাদে নিহত হয়ে চির জাহান্নামী হয়।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য, সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য তথা বিশ্বের সকল মুসলিম সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম এবং উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম, ইসলামের চতুর্থ খলীফা, আমীরুল মু’মিনীন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা, সেখান থেকে নছীহত হাছিল করা এবং এ দিনে সরকারিভাবে ছুটির ঘোষণা করা। এছাড়া ইসলামী সব বিশেষ বিষয় সম্পর্কে ইলম হাছিল করা এবং এসব মর্যাদাপূর্ণ দিনগুলো বেমেছাল তাযীম-তাকরীম ও গভীর জওক-শওকের সাথে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি যথাযথভাবে পালন করা।

এ দিনে বিশেষ মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ পাঠ ও এ দিনের ফাযায়িল-ফযীলত বর্ণনা করা তথা ওয়াজ মাহফিল ও সামা শরীফ-এর মাহফিলের ব্যবস্থা করা, মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো, গরীব-দুঃখীদের আর্থিক সহায়তা করা সহ সব ধরনের নেক কাজ করা।


১৮ আগস্ট, ২০১১

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*Coca-cola is Haram for Muslim

Because Coca-Cola and Other Soft Drinks may Contain ALCOHOL. Read Details here:~~~~ COCA-COLA: THE REAL THINGS? The proportions in the accompanying recipe are based on the analyses of Coke quoted above and Merory's recipes. The amount of caffeine agrees with that stated in Coca-Cola's So you asked about soft drinks... pamphlet; this is about a third of the caffeine found in the trial analyses. The following recipe produces a gallon of syrup very similar to Coca-Cola's. Mix 2,400 grams of sugar with just enough water to dissolve (high-fructose corn syrup may be substituted for half the sugar). Add 36 grams of caramel, 3.1 grams of caffeine, and 11 grams of phosphoric acid. Extract the cocaine from 1.1 grams of coca leaf ( Truxillo growth of coca preferred) with toluol; discard the cocaine extract. Soak the coca leaves and kola nuts (both finely powdered; 0.37 gram of kola nuts) in 22 grams of 20 percent alcohol. California white wine fortified to 20 percent strengt...

যে সকল শব্দ মুসলমানদের ব্যবহার করা উচিত নয়

শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪) আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত, যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া। ইহুদীরা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা...

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদী...