ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফ্রান্সের স্বীকৃতি প্রদান, ইসরায়েলের হুঁশিয়ারী উচ্চারণ ও ফ্রান্সের চার্লি হেবডোতে পরিকল্পিত হামলা
মাত্র এক মাস আগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট। এতে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ৩৩৯ ভোট পড়ে। প্রতীকী এ ভোটে ফিলিস্তিনকে স্বাগত জানানো হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইহুদীবাদী ইসরায়েল। স্বীকৃতি দেয়ার আগে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস পার্লামেন্টে ঘোষণা করেছিলো, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হলে কালবিলম্ব না করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। আমরা এতে প্রস্তুুত রয়েছি।” ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সে তখন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলে যে, ‘ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে মারাত্মক ভুল করবে।’
স্বীকৃতি দেয়ার ঠিক একমাস পরেই দেখা গেলো ফ্রান্সের কুখ্যাত পত্রিকা চার্লি হেবডোর অফিসে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটলো। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলো ১২ জন।
উল্লেখ্য, এই কুখ্যাত চার্লি হেবডো পত্রিকা ২০১২ এবং ২০১৩ ঈসায়ী সালে পরপর দুইবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে জঘন্য ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। এ ঘটনায় বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকে মুসলমাগণ তীব্র প্রতিবাদ জানান।
বলার অপেক্ষা রাখে না, চার্লি হেবডোতে হামলার জন্য মুসলমানদের এই পুঞ্জিভূত ক্ষোভকেই পুঁজি হিসেবে কাজে লাগায় মোসাদ। পরিকল্পিত এ হামলার পর কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই ফ্রান্সের মুসলমানদের ঘাড়ে দোষ চাপানো শুরু হয়ে যায়। অথচ উপরোক্ত বিশ্লেষণে স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হচ্ছে, এ হামলার সাথে সরাসরি ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত। আর এর মাধ্যমে তাদের কয়েকটি স্বার্থ উদ্ধার হলো। যেমন- (১) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফ্রান্সকেও নাজেহাল করা হলো। (২) ফ্রান্স সরকার ও ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলোকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিলো। (৩) নেতানিয়াহু’র বক্তব্য অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকে ভুল হিসেবে প্রতিপন্ন করলো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন