বাঙালি সংস্কৃতির নামে কথিত হারাম বসন্ত উৎসব বা পহেলা ফাল্গুন কি আসলেই বাঙালি সংস্কৃতি? নাকি এদেশের ঈমানদীপ্ত মুসলমানদের বিপথগামী করে দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে মুশরিকদের চক্রান্ত?
কিছু ইতিহাস জ্ঞানশূন্য ও গ-মূর্খরা কথিত বাংলা সনের ফাল্গুন মাসের প্রথম দিনকে ‘পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব’ হিসেবে পালন করে। এটাকে বাঙালি জাতির উৎসব বলে অপপ্রচারণাও চালায়। ভারত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো অতি রঞ্জিত করে এসব প্রচার-প্রসার করে। কিন্তু আসলে বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এর আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, বাংলা সন হিসেবে আমরা যে সালটি গণনা করি সেটি কোনো বাঙালি শুরু করেনি, করেছিলো মোঘল সম্রাট আকবর। যে জাতি হিসেবে ছিলো মঙ্গলীয় এবং তার ভাষা ছিলো ফার্সী। ১৫৯৩ ঈসায়ী (৯৯৩ হিজরী) সালে এ সন চালু করে বাদশাহ আকবর। কিন্তু জারি করার বৎসর হিসাবে দেখানো হয় ১৫৬৩ ঈসায়ী মুতাবিক ৯৬৩ হিজরী সালকে। শুরুতেই কথিত এ বাংলা সনের নামও ‘বাংলা’ সন ছিলো না, এর নাম ছিলো ‘তারিখ-ই-ইলাহি’। যেহেতু সম্রাট আকবর সে মুশরিকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মকে গুলিয়ে ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’ নামক একটি নতুন ভ্রান্ত ধর্ম চালু করেছিলো, সেই দ্বীন-ই-ইলাহির নাম অনুসারে এর নামকরণ হয়। উল্লেখ্য, নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেছিলো বিভ্রান্ত আকবর। এর মধ্যে একটি ছিলো বসন্ত উৎসব, অবশ্য তখন ঋতুর নাম ভিন্ন ছিলো। (তথ্য সূত্র: যুগান্তর, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী) প্রচলিত বসন্তোৎসবের আরেকটি শিকড় আছে। সেটা হচ্ছে হিন্দুদের দোলযাত্রা। এ দোলযাত্রাকেও বসন্তোৎসব নামে ডাকা হয়, যদিও ফাল্গুন মাসের জ্যোৎস্নার তিথিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন উপজাতিরা ‘ফাগুয়ার হোলি খেলা’ নামক একটি উৎসব করে, সেটাকেও তারা বসন্ত উৎসব নামে ডাকে। সাম্প্রতিককালে কথিত এ বসন্ত উৎসব চালু হয় ১৪০১ ফসলী সনে। এর আয়োজনে ছিলো ঢাবি’র চারুকলা ইন্সটিটিউট। মূলকথা হচ্ছে, বসন্ত উৎসব বা পহেলা ফাল্গুন নামে যা পালন হচ্ছে, তার সাথে না আছে বাঙালিত্বের কোনো ইতিহাস, না আছে দ্বীন ইসলামের কোনো সম্পৃক্ততা। মূলত, বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমানী শক্তিকে নষ্ট করে দিতে, তাঁদেরকে জাহান্নামী ও মুশরিকদের মতো মালউন (অভিশপ্ত)দের অন্তর্ভুক্ত করে দিতে এটা একটা চক্রান্ত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, “যে যার সাথে মিল রাখে তার হাশর-নশর তার সাথে হবে।” (পবিত্র হাদীছ শরীফ) সুতরাং মালউন হিন্দুদের সাথে মিল রাখার জন্য, তাদের পথকে অনুসরণ করার জন্য মুসলমানও ঈমান হারিয়ে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! তাই এ সকল হারাম ও কুফরী অপসংস্কৃতি বন্ধ করা মুসলমান হিসেবে আমাদের একান্ত দায়িত্ব। আর এসব বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে, নিজে এসবের মধ্যে না যাওয়া এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে বুঝিয়ে এসবের মধ্যে যেতে নিষেধ করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন। আমীন! |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন