চীনে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাস: চীনারা যতটুকু জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতা শিখেছে, তা মুসলমানগণ উনাদের থেকেই শিখেছে। মুসলমানদের উপর যুলুম নির্যাতন চীন জাতির জন্য লজ্জাজনক
পবিত্র ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, হযরত উসমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি উনার খিলাফতকালে চীনা সম্রাটকে ইসলাম গ্রহণের আহবান জানিয়ে হযরত সা’দ ইবনে আবি’ ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু উনার নেতৃত্বে সেখানে একটি প্রতিনিধিদল পাঠান।
কিন্তু তারও আগে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানাতেই চীনে পবিত্র ইসলাম উনার বার্তা বহন করে নিয়ে আসেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা। বিশেষ করে চাঁদ দ্বিখ-িত হওয়ার পর সেই দ্বিখ-িত চাঁদ দেখতে পেয়েছিলেন চীনের রাজা তাঁইসাং। তিনি তখন লোক পাঠান পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার জন্য। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবু কাবশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেসহ এক কাফেলা পাঠান। উনারা ৮ম হিজরীতে ক্যান্টনে পৌঁছান। চীনের ক্যান্টনে এখনো স্বাক্ষীস্বরূপ উনাদের মাজার শরীফ রয়েছে। উনাদের পরে চীনে আরব বণিক ও ওলীআল্লাহ দের আগমন ঘটে।
এছাড়া চীনা ‘তং’ রাজবংশের শাসনামলে সিল্ক রোড আর সমুদ্র-পথেও অনেক আরব মুসলমানগণ আসেন এ দেশে। তারা চীনের সাথে মুসলিম বিশ্বের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন ও যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। চীনের ৫৬টি গোত্র বা জাতির মধ্যে ১২টি গোত্র মুসলমান। এ গোত্রগুলোর নাম হলো- উইঘুর, তুর্কি, কাজাক, কিরঘিজ, উজবেক, তাতার, সালার, তাজিক, দুং, শাইয়ং, বাওয়ান ও খুয়ি। এছাড়াও চীনের অন্য জাতিগুলোর মধ্যেও মুসলমান রয়েছেন। যেমন, মোঙ্গল, তিব্বতি, দাই ও বাই গোত্রের মধ্যে অনেক মুসলমান রয়েছে। চীনের অনেক মুসলমান বসবাস করেন স্বায়ত্তশাসিত “সিং কিয়াং বা জিনজিয়াং”, “চিং হাই” ও “গানসু” প্রদেশে। আর খুয়ি গোত্রের মুসলমানগণ গোটা চীনের প্রায় সব অঞ্চলেই ছড়িয়ে রয়েছেন। খুয়ি গোত্র চীনের মুসলিম গোত্রগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ একসময় স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের অংশ ছিলো এবং এখনো এ প্রদেশ মুসলিম অধ্যুষিত। তবে এর নাম জিনজিয়াং ছিলো না, এর নাম ছিলো ইস্ট তুর্কিস্তান। কিন্তু চীনা উগ্রপন্থী নাস্তিকরা এটি দখল করে রেখেছে এবং মুসলমানদের সংখ্যা কমাতে (নিশ্চিহ্ন করে দিতে) নানা পরিকল্পিত ইস্যু সৃষ্টি করে হত্যা-গণহত্যা চালায়। এছাড়াও অবর্নণীয় যুলুম নির্যাতন সেখানে চলতেই থাকে। এই হচ্ছে ইতিহাসের চীন এবং আজকে চীন।
মুসলিম অধ্যুষিত বলেই যুগ যুগ ধরে জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলমানদের উপরই যুলুম-নির্যাতন, বোরকা নিষিদ্ধ, দাড়ি নিষিদ্ধ, মসজিদে মাইকে আযান নিষিদ্ধ, এছাড়াও নানা অযুহাতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, গণহত্যা ইত্যাদি চলে আসছে। দেশটিতে এতো হত্যাকা- হয়েছে যে, মুসলমানদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত না থাকলে এতো দিনে হয়তো চীনে মুসলমানদের কোনো অস্তীত্বই থাকতো না।
কিন্তু তারও আগে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানাতেই চীনে পবিত্র ইসলাম উনার বার্তা বহন করে নিয়ে আসেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা। বিশেষ করে চাঁদ দ্বিখ-িত হওয়ার পর সেই দ্বিখ-িত চাঁদ দেখতে পেয়েছিলেন চীনের রাজা তাঁইসাং। তিনি তখন লোক পাঠান পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার জন্য। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আবু কাবশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেসহ এক কাফেলা পাঠান। উনারা ৮ম হিজরীতে ক্যান্টনে পৌঁছান। চীনের ক্যান্টনে এখনো স্বাক্ষীস্বরূপ উনাদের মাজার শরীফ রয়েছে। উনাদের পরে চীনে আরব বণিক ও ওলীআল্লাহ দের আগমন ঘটে।
এছাড়া চীনা ‘তং’ রাজবংশের শাসনামলে সিল্ক রোড আর সমুদ্র-পথেও অনেক আরব মুসলমানগণ আসেন এ দেশে। তারা চীনের সাথে মুসলিম বিশ্বের পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন ও যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। চীনের ৫৬টি গোত্র বা জাতির মধ্যে ১২টি গোত্র মুসলমান। এ গোত্রগুলোর নাম হলো- উইঘুর, তুর্কি, কাজাক, কিরঘিজ, উজবেক, তাতার, সালার, তাজিক, দুং, শাইয়ং, বাওয়ান ও খুয়ি। এছাড়াও চীনের অন্য জাতিগুলোর মধ্যেও মুসলমান রয়েছেন। যেমন, মোঙ্গল, তিব্বতি, দাই ও বাই গোত্রের মধ্যে অনেক মুসলমান রয়েছে। চীনের অনেক মুসলমান বসবাস করেন স্বায়ত্তশাসিত “সিং কিয়াং বা জিনজিয়াং”, “চিং হাই” ও “গানসু” প্রদেশে। আর খুয়ি গোত্রের মুসলমানগণ গোটা চীনের প্রায় সব অঞ্চলেই ছড়িয়ে রয়েছেন। খুয়ি গোত্র চীনের মুসলিম গোত্রগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ একসময় স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের অংশ ছিলো এবং এখনো এ প্রদেশ মুসলিম অধ্যুষিত। তবে এর নাম জিনজিয়াং ছিলো না, এর নাম ছিলো ইস্ট তুর্কিস্তান। কিন্তু চীনা উগ্রপন্থী নাস্তিকরা এটি দখল করে রেখেছে এবং মুসলমানদের সংখ্যা কমাতে (নিশ্চিহ্ন করে দিতে) নানা পরিকল্পিত ইস্যু সৃষ্টি করে হত্যা-গণহত্যা চালায়। এছাড়াও অবর্নণীয় যুলুম নির্যাতন সেখানে চলতেই থাকে। এই হচ্ছে ইতিহাসের চীন এবং আজকে চীন।
মুসলিম অধ্যুষিত বলেই যুগ যুগ ধরে জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলমানদের উপরই যুলুম-নির্যাতন, বোরকা নিষিদ্ধ, দাড়ি নিষিদ্ধ, মসজিদে মাইকে আযান নিষিদ্ধ, এছাড়াও নানা অযুহাতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, গণহত্যা ইত্যাদি চলে আসছে। দেশটিতে এতো হত্যাকা- হয়েছে যে, মুসলমানদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত না থাকলে এতো দিনে হয়তো চীনে মুসলমানদের কোনো অস্তীত্বই থাকতো না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন