৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এ দেশের পাঠ্যবইয়ে কুফরী শিক্ষা কেন? সরকার কি এদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলামবিদ্বেষী ও কাফির বানাতে চায়? সরকারকে এর জবাবদিহি করতে হবে
আমাদের দেশের এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) কর্তৃক প্রকাশিত ও ভারত থেকে মুদ্রণকৃত বইগুলোতে প্রকাশ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে কটাক্ষ করে অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেক কুফরী, শিরকীমূলক বক্তব্য ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। যা চরম পর্যায়ের দুঃসাহসিকতা। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান অধিবাসী উনাদের সন্তানদের এসব কুফরী শিক্ষাতে এমন কায়দায় বাধ্য করা হচ্ছে, যেভাবে ভারতে মাদরাসাগুলোতে গীতা পাঠে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারি পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে এসমস্ত কুফরী ও ইসলাম পরিপন্থী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করায় দেশের সচেতন অভিভাবকমহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তৃতীয় শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বইয়ের জনসংখ্যা অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কম সন্তান নিলে বড়লোক হয়, অধিক সন্তান নিলে গরিব হয়’ আবার, ‘কম সন্তান নিলে আধুনিক হয়, অপরদিকে যাদের মুখে দাড়ি থাকে এবং মাথায় ঘোমটা থাকে তারাই অধিক সন্তান নেয়।’ নাউযুবিল্লাহ!
এই অধ্যায়ে স্পষ্ট করে শিখানো হচ্ছে, ‘যাদের মুখে দাড়ি থাকে এবং মাথায় ঘোমটা থাকে তারাই অধিক সন্তান নেয়।’ অর্থাৎ এখানে মুসলমানদের কটাক্ষ করা হয়েছে। এসব কুশিক্ষা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী এবং এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে।
শিখানো হচ্ছে, ‘ছোট পরিবারের খাবার-দাবারে সুবিধা, কিন্তু বড় পরিবারের খাওয়া-দাওয়া কম হয়, অপুষ্টি থাকে।’
অথচ সন্তান মহান আল্লাহ পাক উনার দান। অনেকে বছরের পর বছর বহু চেষ্টা করেও সন্তান পায় না। আর রিযিকের ব্যবস্থাও মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই করেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক তিনিই উত্তম রিযিকদাতা’।
বলাবাহুল্য, কাফির-মুশরিকরা চায় মুসলমানদের সংখ্যা কমে গিয়ে তাদের সংখ্যা বাড়–ক। এতে তাদের (শয়তানের) আধিপত্য টিকে থাকবে। তাই মুসলিম দেশগুলোতে বোমা হামলা করে মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে, কোথাও ভাইরাস ছড়িয়ে, কোথাও সেøা পয়জনিং করে, কোথাও সরাসরি হত্যা করে মুসলমানদের সংখ্যা কমানোর মহাযজ্ঞ চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এসব পন্থায় মুসলিম নিধনের সুযোগ না থাকায় কাফিররা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়’ নাউযুবিল্লাহ! এমন মগজ ধোলাই বহু আগে থেকেই চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তকে এসব মগজ ধোলাই কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। সরকার চাইলে জরিপ করে দেখতে পারে, সন্তানদের এসমস্ত কুফরী শিক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়া মুসলমানরা কতোটা ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। কুশিক্ষা ছড়িয়ে একটি জাতিকে বিপথে ঠেলে দেয়ার দায়ে সরকারকে দায়ী হিসেবে অবশ্যই কঠিন জবাবদিহি করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন