হারাম গণতন্ত্রের অভিশাপ: ২২ বছরের কষ্টার্জিত সম্পদ ও একমাত্র আয়ের পথ আব্দুল মান্নানের ট্রাকটি আধা ঘণ্টায় পুড়ে ছাই; এই গণতন্ত্র থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই
দীর্ঘ ২২ বছর পরিবার-পরিজন ছেড়ে সউদী আরবে প্রবাস জীবন কাটিয়ে তিনমাস আগে দেশে ফিরেছেন নাটোরের আবদুল মান্নান। সারাজীবনের আয় ৩৬ লাখ টাকা দিয়ে একটি ট্রাক কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু গণতান্ত্রিক অবরোধের আধা ঘণ্টার আগুনে পুড়ে চোখের সামনেই ছাই হলো তার ২২ বছরের কষ্টার্জতি সম্পদ। সেই সাথে বন্ধ হয়ে গেলো তার জীবিকার একমাত্র পথ। গাড়িটি পোড়ার পর আব্দুল মান্নান কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, “সউদী আরবে ২২ বছর ট্রাক চালিয়েছি। তিন মাস আগে দেশে আসি। নিজে একটা ট্রাকের মালিক হওয়ার স্বপ্ন থেকে তিন মাস আগে ৩৬ লাখ টাকায় ট্রাকটা কিনেছিলাম। কিন্তু সব স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল।”
অনেকে হয়তো বলবে, অবরোধ জেনেও সে গাড়িটি কেন বের করলো? প্রথমত এর জবাব হচ্ছে, গাড়িটি তার একমাত্র আয়ের পথ। গাড়ি বন্ধ থাকলে তার রুজি-রোজগারও বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় কারণটি সে নিজেই বলেছে, “সরকারের নিরাপত্তার আশ্বাসে রাস্তায় ট্রাক নামাইছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তা কই? পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই ওরা ট্রাকটি পোড়াইল অথচ তারা কিছুই করতে পারল না।” (খবর: বিডিনিউজ২৪.কম, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫ ঈসায়ী)
এটাই হচ্ছে, গণতন্ত্র। এসব অবরোধ, হরতাল গণতন্ত্রে নাকি অধিকার। আর অধিকার হিসেবে স্বীকৃত বলেই হরতাল-অবরোধ বন্ধে কোনো সরকারই আজো পর্যন্ত আইন করতে পারেনি। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে এযাবৎ হরতাল-অবরোধে কতজন নিরাপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কতজন মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়েছে, কতজন শিশু ইয়াতীম হয়েছে, কত নারী বিধবা হয়েছে, আর কত পরিবার পথে বসেছে তার কোনো হিসাব নেই। তারপরেও এসব রাজনৈতিক আন্দোলন-অবরোধ নাকি গণতান্ত্রিক অধিকার। ধিক্কার জানাই এ গণতন্ত্রকে। গণতন্ত্র নামক এ ষড়যন্ত্রের যাঁতাকল থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন