গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ ঈসায়ী ভারত ছফরে আসে অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওবামার সাথে আলিঙ্গন করে উভয়ে। এসময় ওবামার চেহারায় ছিলো ভুবুক্ষের মুখের মেকি হাসির মতো বিকৃত হাসি। আর মোদির মুখে ছিলো ধূর্ত শেয়ালের মতো হাসি। তাদের পরস্পরের কূটনৈতিক আলিঙ্গন ও হাসির মধ্যে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকার কোষ্ঠকাঠিন্যতার ছাপ।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ঋণে জর্জরিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক অর্থনৈতিক মন্দার পরাঘাতে অস্তিত্ব কতোটাযে সঙ্কটে তা ২০০৮ সালে ওবামার ক্ষমতা গ্রহণের পরের চেহারা আর বর্তমান চেহারার সাথে তুলনা করলে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। একটি দেশের অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়লে সে দেশের, মূল্যস্তর নিম্নগামী হয়, বিনিয়োগ হ্রাস পায়, কর্মস্থান সঙ্কট, উৎপাদন হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়; সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়, ব্যবসায়ের মুনাফা হ্রাস পায় এবং স্বাভাবিকভাবেই জনগণের জীবনযাত্রার মানও হ্রাস পায়। এর ফলে অর্থনীতি ক্রমেই মহামন্দার দিকে ধাবিত হয়।
বলাবাহুল্য, বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার প্রতিটি রূপ ভয়াবহ আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও পুঁজিবাজারের পতন, একের পর এক ব্যাংক কলাপ্সের হার বৃদ্ধি ও ভয়াবহ হারে বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে যথারীতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে দেশটি। আমেরিকার নাগরিকদের জীবনমান এতোটা নিচে নেমেছে যে, খাদ্যাভাবে ক্ষুধার তাড়নায় তারা মানুষখেকো প্রাণীতে পরিণত হচ্ছে। ফলে তাদের ক্ষুধা মোকাবিলায় পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিতে বাধ্য হয়ে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ। (প্রথম আলো, ১৪ মে, ২০১৩ ঈসায়ী)
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ৭৩ ভাগ মনে করছে তারা ভুল পথে চলছে। অন্যদিকে টিকে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক মনে করছে সামনে আরো খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইপসোস পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া ওবামা নিজেও সাপ্তাহিক রেডিও ভাষণে বলেছে, ‘এখন অনেক আমেরিকান খুব বাজে সময় কাটাচ্ছে।’ (কালেরকণ্ঠ, ১৪ আগস্ট, ২০১১ ঈ.)
এমতাবস্থায়, অর্থ মন্দায় বিপর্যস্ত দেশকে সামনে রেখে ওবামার ভারত সফর কী তাৎপর্য বহন করে? যেখানে ভারত নিজেও একই সমস্যায় জর্জরিত। ২০১৩ সালে ভারতের প্রশাসন ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের খতিয়ানে প্রকাশ করেছে, অর্থনৈতিক বিকাশের পরিসংখ্যান বিগত দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে শতকরা পাঁচ ভাগ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই ঘটনাকে বলেছে ‘সাময়িক’। কিন্তু আদৌ দেশটির অর্থনীতি উর্ধ্বমূখী হয়নি। ভারত এখনো খোলা আকাশের নিচে টয়লেট সারা ৬০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে সেনেটারির ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। প্রসঙ্গত, এমনই মন্দার মহামারীতে কঙ্কালশার দুটি দেশের দুই ভুবুক্ষ প্রধানের আলিঙ্গনের মধ্যে সঙ্গতকারণেই টিকে থাকার লড়াইয়ের কোষ্ঠকাঠিন্যতা প্রকাশ পায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ঋণে জর্জরিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক অর্থনৈতিক মন্দার পরাঘাতে অস্তিত্ব কতোটাযে সঙ্কটে তা ২০০৮ সালে ওবামার ক্ষমতা গ্রহণের পরের চেহারা আর বর্তমান চেহারার সাথে তুলনা করলে তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। একটি দেশের অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়লে সে দেশের, মূল্যস্তর নিম্নগামী হয়, বিনিয়োগ হ্রাস পায়, কর্মস্থান সঙ্কট, উৎপাদন হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়; সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়, ব্যবসায়ের মুনাফা হ্রাস পায় এবং স্বাভাবিকভাবেই জনগণের জীবনযাত্রার মানও হ্রাস পায়। এর ফলে অর্থনীতি ক্রমেই মহামন্দার দিকে ধাবিত হয়।
বলাবাহুল্য, বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার প্রতিটি রূপ ভয়াবহ আকারে প্রকাশ পাচ্ছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও পুঁজিবাজারের পতন, একের পর এক ব্যাংক কলাপ্সের হার বৃদ্ধি ও ভয়াবহ হারে বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে যথারীতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে দেশটি। আমেরিকার নাগরিকদের জীবনমান এতোটা নিচে নেমেছে যে, খাদ্যাভাবে ক্ষুধার তাড়নায় তারা মানুষখেকো প্রাণীতে পরিণত হচ্ছে। ফলে তাদের ক্ষুধা মোকাবিলায় পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিতে বাধ্য হয়ে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ। (প্রথম আলো, ১৪ মে, ২০১৩ ঈসায়ী)
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ৭৩ ভাগ মনে করছে তারা ভুল পথে চলছে। অন্যদিকে টিকে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক মনে করছে সামনে আরো খারাপ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইপসোস পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া ওবামা নিজেও সাপ্তাহিক রেডিও ভাষণে বলেছে, ‘এখন অনেক আমেরিকান খুব বাজে সময় কাটাচ্ছে।’ (কালেরকণ্ঠ, ১৪ আগস্ট, ২০১১ ঈ.)
এমতাবস্থায়, অর্থ মন্দায় বিপর্যস্ত দেশকে সামনে রেখে ওবামার ভারত সফর কী তাৎপর্য বহন করে? যেখানে ভারত নিজেও একই সমস্যায় জর্জরিত। ২০১৩ সালে ভারতের প্রশাসন ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের খতিয়ানে প্রকাশ করেছে, অর্থনৈতিক বিকাশের পরিসংখ্যান বিগত দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে শতকরা পাঁচ ভাগ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই ঘটনাকে বলেছে ‘সাময়িক’। কিন্তু আদৌ দেশটির অর্থনীতি উর্ধ্বমূখী হয়নি। ভারত এখনো খোলা আকাশের নিচে টয়লেট সারা ৬০ ভাগ জনগোষ্ঠীকে সেনেটারির ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। প্রসঙ্গত, এমনই মন্দার মহামারীতে কঙ্কালশার দুটি দেশের দুই ভুবুক্ষ প্রধানের আলিঙ্গনের মধ্যে সঙ্গতকারণেই টিকে থাকার লড়াইয়ের কোষ্ঠকাঠিন্যতা প্রকাশ পায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন