ভারতের মুফতে ইলিয়াসের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও খন্ডন (বক্তব্য লিঙ্ক: http://goo.gl/46hqg1)
১) কাফির ইলিয়াসের দাবি: শিব নাকি মুসলমানদের প্রথম নবী। নাউযুবিল্লাহ!
খণ্ডন:প্রথম মানুষ হচ্ছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম, তিনি মুসলমানদের প্রথম নবী। এটি পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট করে বর্ণনা করা আছে। আর শিব হচ্ছে হিন্দুদের কথিত পুরানীয় কল্পিতচরিত্র। কেউ যদি মুসলমান হয় এবং কুরআন শরীফ-হাদীস শরীফ বিশ্বাস করে তবে তার পক্ষে এ ধরনের কুফরী কথা বিশ্বাস করা কখনই সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি কাফির হয়ে যায়, তার পক্ষে সম্ভব।
২) কাফির ইলিয়াসের দাবি : ‘ইসলাম ধর্ম-এর কেন্দ্র আরব নয়, হিন্দুস্তান । নাউযুবিল্লাহ।
খণ্ডন: হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সিংহল (শ্রীলঙ্কা)-এ নামানো হয়েছিলো, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় না ইসলাম ভারত থেকে এসেছে। কেননা হযরত হাওয়া আলাইহাস সালামকে নামানো হয়েছিলো সউদী আরবের জেদ্দায়। এরপর দুজনে পুনর্মিলিত হন সউদী আরবের আরাফার ময়দানে। উল্লেখ্য, হযরত আদম আলাইহি সালামের সৃষ্টির বহু বছর পূর্বেই মহান আল্লাহ তায়ালা জমিন সৃষ্টি করেন এবং জমিনের মধ্যে প্রথম সৃষ্টি হয় পবিত্র কাবা ঘর।
এ সম্পর্কে কুরআন পাকে বলা আছে: “প্রকৃতপক্ষে মানব জাতির জন্য প্রথম যে ঘর তৈরি করা হয়েছিল তা হচ্ছে ঐ বাক্কা বা কা’বা শরীফ। যা নিয়ামত দ্বারা পূর্ণ এবং মানবজাতির জন্য পথ প্রদর্শক।” (সূরা আল ইমরান ৯৬)
আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে- নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “কা’বা শরীফ ছিল পানির উপর একটি ছোট পাহাড় এবং তার নিচ দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি হয়।” উল্লেখ্য কাবাঘর সৃষ্টির পর ফিরিশতারা বহু বছর কাবা ঘরকে তাওয়াফ করতেন। হযরত আদম আলাইহিস সালাম আসার পর কাবা ঘর পুন:নির্মাণ করেন।
তাই হযরত আদম আলাইহিস সালাম জান্নাত থেকে শ্রীলঙ্কায় অবতরণ করেছেন বলে শ্রীলংকা বা ভারত মুসলমানদের কেন্দ্র হতে পারে না, বরং প্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম কাবা ঘরকে নিজের কেন্দ্র বলেছেন তাই কাবা ঘরই মুসলমানদের কেন্দ্র।
৩) কাফির ইলিয়াসের দাবি : হিন্দুস্তানে জন্ম নিলেই হিন্দু, এমন কি মুসলমানরাও হিন্দু। নাউযুবিল্লাহ।
খণ্ডন: পবিত্র কুরআন পাকে ইসলাম গ্রহণকারীদের কয়েকটি স্পষ্ট নামে ডাকা হয়েছে
ক) মুসলমান, খ) মুমিন। এখন কালেমা পাঠকারীদের এই নামেই ডাকতে হবে, এর ব্যতিক্রম ডাকা যাবে না । উল্লেখ্য আরবী শব্দ হিন্দ দ্বারা ভারত বুঝালেও হিন্দু শব্দটি ফার্সী। যার অর্থ বিস্তারিত দেওয়া হলো:
--হিন্দু বা হিদেন-এর সহজ বাংলা অর্থ হচ্ছে- অধার্মিক, নিম্নস্তরের ধর্মাবলম্বী জাতিভুক্ত ব্যক্তি, অখ্রিস্টান, অসভ্য বা বর্বর ব্যক্তি, রুক্ষ্ম, নিষ্ঠুর, ম্লেছ প্রভৃতি। (সূত্র : Samsad English-Bangali Dictorery, Fifth edition, 1976, p. 504)
-- হিন্দু শব্দের অর্থ- অবিশ্বাসী, দাস ও কৃতদাস। (সূত্র : ফার্সী অভিধান হাফত কুলযুম, ৩য় খ-, পৃ-৯৮)
--হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, চৌকিদার, দাস ও ক্রিতদাস। এখানে আরো উল্লেখ আছে ভারতের বাসিন্দাদের হিন্দি বলা হয়; হিন্দু নয়। (সূত্র : ফার্সী অভিধান বাহরে আযম, ২য় খণ্ড, পৃ-৪৯৭)
--হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী ও গোলাম। (সূত্র : ফার্সী অভিধান- লোগাতে কিশওয়ারী, পৃ. ৮২১- ২২)
-- এমনকি এই হিন্দুরাও নিজেদের এই বদনামীর কথা জানতো। যে কারণে হিন্দু পণ্ডিতদের অনেকেই হিন্দু নামটি ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেছে। যেমন হিন্দুদের গুরু বিবেকানন্দ বলেছে- “যে হিন্দু নামে পরিচয় দেওয়া এখন আমাদের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কোনো সার্থকতা নেই। কারণ ঐ শব্দের অর্থ যারা সিন্ধু নদের পাড়ে বাস করতো।...সুতরাং আমি হিন্দু শব্দ ব্যবহার না করে ‘বৈদিক’ শব্দ ব্যবহার করব। অবশ্য ‘বৈদান্তিক’ শব্দ ব্যবহার আরও যুক্তিসংগত।” (সূত্র : বিবেকানন্দ রচনা সমগ্র পৃ. ৭০০, ১৯৮৮)
অর্থাৎ হিন্দু শব্দটি একটি বিশেষ মূর্তিপূজারী জাতির পরিচায়ক হিসেবে বহন করে, যা মশহুর হয়ে গেছে। এখন কালেমা শরীফ পাঠকারী যদি নিজেকে মুসলমান/মুমীন ব্যতিত হিন্দু শব্দ দ্বারা নিজেকে চিহ্নিত করে তবে সে মুসলমান থাকতে পারবে না, কুফরী করে মুশরিক হিন্দু হয়ে যাবে।
৪) ইসলামই সবচেয়ে আদি ধর্ম
প্রমাণ: প্রথম মানব হযরত আদম আলাইহিস সালাম যেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারি ও নবী ছিলেন তাই ইসলামই হচ্ছে সবচেয়ে আদি ও পুরাতন ধর্ম। হিন্দুরা গায়ের জোরে তাদের ধর্মকে সনাতন বলে চালাতে চায়, যা সঠিক নয়। উল্লেখ্য, হিন্দুদের দাবি মতে তাদের ধর্মের উৎপত্তি ৬ হাজার বছর আগে, অথচ মুসলমানদের মধ্যে নবী রাসূল এসেছেন এক লক্ষ ২৪ হাজার বা ২ লক্ষ ২৪ হাজার জন। সবাই যদি ১০০ বছর করেও অবস্থান করেন, তবে হযরত আদম আলাইহিস সালামের আগমণ লক্ষ লক্ষ বছর আগে। অর্থাৎ ইসলামের থেকে আদি ধর্ম আর পৃথিবীতে নেই।
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হিন্দু ও তাদের মুসলিম নামধারী দালালদের এ ধরনের গাজাখুরি বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা ও প্রতিবাদ করা এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া।
১) কাফির ইলিয়াসের দাবি: শিব নাকি মুসলমানদের প্রথম নবী। নাউযুবিল্লাহ!
খণ্ডন:প্রথম মানুষ হচ্ছেন হযরত আদম আলাইহিস সালাম, তিনি মুসলমানদের প্রথম নবী। এটি পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট করে বর্ণনা করা আছে। আর শিব হচ্ছে হিন্দুদের কথিত পুরানীয় কল্পিতচরিত্র। কেউ যদি মুসলমান হয় এবং কুরআন শরীফ-হাদীস শরীফ বিশ্বাস করে তবে তার পক্ষে এ ধরনের কুফরী কথা বিশ্বাস করা কখনই সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি কাফির হয়ে যায়, তার পক্ষে সম্ভব।
২) কাফির ইলিয়াসের দাবি : ‘ইসলাম ধর্ম-এর কেন্দ্র আরব নয়, হিন্দুস্তান । নাউযুবিল্লাহ।
খণ্ডন: হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সিংহল (শ্রীলঙ্কা)-এ নামানো হয়েছিলো, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় না ইসলাম ভারত থেকে এসেছে। কেননা হযরত হাওয়া আলাইহাস সালামকে নামানো হয়েছিলো সউদী আরবের জেদ্দায়। এরপর দুজনে পুনর্মিলিত হন সউদী আরবের আরাফার ময়দানে। উল্লেখ্য, হযরত আদম আলাইহি সালামের সৃষ্টির বহু বছর পূর্বেই মহান আল্লাহ তায়ালা জমিন সৃষ্টি করেন এবং জমিনের মধ্যে প্রথম সৃষ্টি হয় পবিত্র কাবা ঘর।
এ সম্পর্কে কুরআন পাকে বলা আছে: “প্রকৃতপক্ষে মানব জাতির জন্য প্রথম যে ঘর তৈরি করা হয়েছিল তা হচ্ছে ঐ বাক্কা বা কা’বা শরীফ। যা নিয়ামত দ্বারা পূর্ণ এবং মানবজাতির জন্য পথ প্রদর্শক।” (সূরা আল ইমরান ৯৬)
আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে- নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “কা’বা শরীফ ছিল পানির উপর একটি ছোট পাহাড় এবং তার নিচ দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি হয়।” উল্লেখ্য কাবাঘর সৃষ্টির পর ফিরিশতারা বহু বছর কাবা ঘরকে তাওয়াফ করতেন। হযরত আদম আলাইহিস সালাম আসার পর কাবা ঘর পুন:নির্মাণ করেন।
তাই হযরত আদম আলাইহিস সালাম জান্নাত থেকে শ্রীলঙ্কায় অবতরণ করেছেন বলে শ্রীলংকা বা ভারত মুসলমানদের কেন্দ্র হতে পারে না, বরং প্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম কাবা ঘরকে নিজের কেন্দ্র বলেছেন তাই কাবা ঘরই মুসলমানদের কেন্দ্র।
৩) কাফির ইলিয়াসের দাবি : হিন্দুস্তানে জন্ম নিলেই হিন্দু, এমন কি মুসলমানরাও হিন্দু। নাউযুবিল্লাহ।
খণ্ডন: পবিত্র কুরআন পাকে ইসলাম গ্রহণকারীদের কয়েকটি স্পষ্ট নামে ডাকা হয়েছে
ক) মুসলমান, খ) মুমিন। এখন কালেমা পাঠকারীদের এই নামেই ডাকতে হবে, এর ব্যতিক্রম ডাকা যাবে না । উল্লেখ্য আরবী শব্দ হিন্দ দ্বারা ভারত বুঝালেও হিন্দু শব্দটি ফার্সী। যার অর্থ বিস্তারিত দেওয়া হলো:
--হিন্দু বা হিদেন-এর সহজ বাংলা অর্থ হচ্ছে- অধার্মিক, নিম্নস্তরের ধর্মাবলম্বী জাতিভুক্ত ব্যক্তি, অখ্রিস্টান, অসভ্য বা বর্বর ব্যক্তি, রুক্ষ্ম, নিষ্ঠুর, ম্লেছ প্রভৃতি। (সূত্র : Samsad English-Bangali Dictorery, Fifth edition, 1976, p. 504)
-- হিন্দু শব্দের অর্থ- অবিশ্বাসী, দাস ও কৃতদাস। (সূত্র : ফার্সী অভিধান হাফত কুলযুম, ৩য় খ-, পৃ-৯৮)
--হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, চৌকিদার, দাস ও ক্রিতদাস। এখানে আরো উল্লেখ আছে ভারতের বাসিন্দাদের হিন্দি বলা হয়; হিন্দু নয়। (সূত্র : ফার্সী অভিধান বাহরে আযম, ২য় খণ্ড, পৃ-৪৯৭)
--হিন্দু শব্দের অর্থ- চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী ও গোলাম। (সূত্র : ফার্সী অভিধান- লোগাতে কিশওয়ারী, পৃ. ৮২১- ২২)
-- এমনকি এই হিন্দুরাও নিজেদের এই বদনামীর কথা জানতো। যে কারণে হিন্দু পণ্ডিতদের অনেকেই হিন্দু নামটি ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেছে। যেমন হিন্দুদের গুরু বিবেকানন্দ বলেছে- “যে হিন্দু নামে পরিচয় দেওয়া এখন আমাদের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কোনো সার্থকতা নেই। কারণ ঐ শব্দের অর্থ যারা সিন্ধু নদের পাড়ে বাস করতো।...সুতরাং আমি হিন্দু শব্দ ব্যবহার না করে ‘বৈদিক’ শব্দ ব্যবহার করব। অবশ্য ‘বৈদান্তিক’ শব্দ ব্যবহার আরও যুক্তিসংগত।” (সূত্র : বিবেকানন্দ রচনা সমগ্র পৃ. ৭০০, ১৯৮৮)
অর্থাৎ হিন্দু শব্দটি একটি বিশেষ মূর্তিপূজারী জাতির পরিচায়ক হিসেবে বহন করে, যা মশহুর হয়ে গেছে। এখন কালেমা শরীফ পাঠকারী যদি নিজেকে মুসলমান/মুমীন ব্যতিত হিন্দু শব্দ দ্বারা নিজেকে চিহ্নিত করে তবে সে মুসলমান থাকতে পারবে না, কুফরী করে মুশরিক হিন্দু হয়ে যাবে।
৪) ইসলামই সবচেয়ে আদি ধর্ম
প্রমাণ: প্রথম মানব হযরত আদম আলাইহিস সালাম যেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারি ও নবী ছিলেন তাই ইসলামই হচ্ছে সবচেয়ে আদি ও পুরাতন ধর্ম। হিন্দুরা গায়ের জোরে তাদের ধর্মকে সনাতন বলে চালাতে চায়, যা সঠিক নয়। উল্লেখ্য, হিন্দুদের দাবি মতে তাদের ধর্মের উৎপত্তি ৬ হাজার বছর আগে, অথচ মুসলমানদের মধ্যে নবী রাসূল এসেছেন এক লক্ষ ২৪ হাজার বা ২ লক্ষ ২৪ হাজার জন। সবাই যদি ১০০ বছর করেও অবস্থান করেন, তবে হযরত আদম আলাইহিস সালামের আগমণ লক্ষ লক্ষ বছর আগে। অর্থাৎ ইসলামের থেকে আদি ধর্ম আর পৃথিবীতে নেই।
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হিন্দু ও তাদের মুসলিম নামধারী দালালদের এ ধরনের গাজাখুরি বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা ও প্রতিবাদ করা এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন