রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কথিত ‘লাখো জনতার ঢল’ একটি গণতান্ত্রিক ধোঁকা॥ এ ঢল কি সাধারণ মানুষের, নাকি দলীয় আর ভাড়াটে লোকদের?
গণতান্ত্রিক রাজনীতির একটি বড় হাতিয়ার হচ্ছে মিডিয়া (গণমাধ্যম)। মিডিয়ায় প্রচারণার মাধ্যমে গণতন্ত্রের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা জগতে তাদের পক্ষে অনুভূতি সৃষ্টি করে। দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৭/১/২০১৫ ঈসায়ী) বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনেক লোকের অংশগ্রহণে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। যেটা পরের দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, কোকোর জানাযায় ‘জনতার ঢল’, ‘বিশাল জনস্রোত’, ‘লাখো মানুষের ঢল’ ইত্যাদি বিশেষণে। এসমস্ত বিশেষণ ব্যবহার করেছে বিশেষভাবে বিএনপি-জামাতপন্থী মিডিয়াগুলো। উদ্দেশ্য, সারাদেশের জনগণকে জানিয়ে দেয়া যে, দেশের সাধারণ মানুষের অন্তরে বিএনপি কতোটা জায়গা করে নিয়েছে অর্থাৎ আম জনতা বিএনপিকেই পছন্দ করে, ক্ষমতাসীন সরকারকে নয়। এটা হচ্ছে এক ধরনের মগজ ধোলাই।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, জানাযায় অংশগ্রহণকারী লোকগুলো কী আম জনতা বা অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষ? মোটেও নয়। বরং এখানে রয়ে গেছে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতারণা। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কোকোর জানাযাকে কেন্দ্র করে শীর্ষ নের্তৃবৃন্দ থেকে নির্দেশ এসেছে, যেকোনো মূল্যে জানাযায় বিপুল পরিমাণ লোক সমবেত করতে হবে। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাজেট হয়েছে। অর্থাৎ এই কথিত লাখো জনতার মধ্যে মূলত দুই ধরনের লোক ছিলো- প্রথমত, দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দ্বিতীয়ত, টাকার বিনিময়ে আসা ভাড়াটে লোক। বলাবাহুল্য দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকই ছিলো বেশি।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে লোক ভাড়া করে মিটিং, মিছিল, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা নতুন কিছু নয়। এমনকি পয়সার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে মানুষ হত্যা করাও গণতন্ত্রের রাজনীতিতে স্বাভাবিক ব্যাপার।
সুতরাং প্রতিটি গণতান্ত্রিক দল তাদের সমাবেশে বা যেকোনো কর্মসূচিতে ‘লাখো জনতার ঢল’, ‘জনতার স্রোত’ ইত্যাদি প্রচার করে মূলত জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে।
এদেশের সহজ সরল জনগণ গণতন্ত্রের নামে আর কত প্রহসনের শিকার হবে?
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, জানাযায় অংশগ্রহণকারী লোকগুলো কী আম জনতা বা অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষ? মোটেও নয়। বরং এখানে রয়ে গেছে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতারণা। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কোকোর জানাযাকে কেন্দ্র করে শীর্ষ নের্তৃবৃন্দ থেকে নির্দেশ এসেছে, যেকোনো মূল্যে জানাযায় বিপুল পরিমাণ লোক সমবেত করতে হবে। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাজেট হয়েছে। অর্থাৎ এই কথিত লাখো জনতার মধ্যে মূলত দুই ধরনের লোক ছিলো- প্রথমত, দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দ্বিতীয়ত, টাকার বিনিময়ে আসা ভাড়াটে লোক। বলাবাহুল্য দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকই ছিলো বেশি।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে লোক ভাড়া করে মিটিং, মিছিল, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা নতুন কিছু নয়। এমনকি পয়সার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে মানুষ হত্যা করাও গণতন্ত্রের রাজনীতিতে স্বাভাবিক ব্যাপার।
সুতরাং প্রতিটি গণতান্ত্রিক দল তাদের সমাবেশে বা যেকোনো কর্মসূচিতে ‘লাখো জনতার ঢল’, ‘জনতার স্রোত’ ইত্যাদি প্রচার করে মূলত জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে।
এদেশের সহজ সরল জনগণ গণতন্ত্রের নামে আর কত প্রহসনের শিকার হবে?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন