তাবলীগ জামাত সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন? তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বিকৃতকারী, ফ্রান্সের হামলা ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ঘটনায় ইহুদীদের সমর্থনকারী, তারা ইহুদীদের এজেন্ট- এসব বিষয় সম্পর্কে জানেন কি?
ইউরোপ-আমেরিকার প্রবাসীরা অনেকেই একটা কথা বলে যে, ইহুদীরা খুব নিরীহ। তারা কোনো ঝামেলার মধ্যে জড়ায় না, এমনকি অন্যায়ের প্রতিবাদও করে না। তারা সবসময় চুপচাপ কাজ করে যায়।
তাদের এসব খাছলতের সাথে পরিপূর্ণভাবে মিলে যায় প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগ জামাতের সাথে। তাবলীগীরাও কোনো ঝামেলার মধ্যে জড়ায় না, এমনকি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কেউ কটূক্তি, ব্যঙ্গবিদ্রƒপ করলেও তার প্রতিবাদ করে না। কোনো অসৎ কিংবা হারাম কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না। তারা ধর্মীয় বিষয়েও কোনো বাহাস কিংবা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হয় না। সাধারণ মানুষ তাদেরকেও খুব নিরীহ মনে করে। কিন্তু এদের কার্যক্রমগুলো যে ইহুদীদের এজেন্ট দ্বারা সঞ্চালিত হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষতো দূরে থাক সাধারণ তাবলীগওয়ালারাও জানে না। কিন্তু সত্য কখনো গোপন থাকে না, প্রকাশ হবেই। তাবলীগীদের মুখোশও ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে।
প্রথমেই ধরা যাক তাদের ইসলাম বিকৃতির নমুনা। তাবলীগ জামাতের বইসমূহে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ বিকৃত করে বহু বর্ণনা রয়েছে, যা তালীমের নামে আগত সদস্যদের মনে-মগজে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। যেমন, তাদের বইয়ে লেখা আছে: “তাবলীগের কাজ হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়, তাতে যারা আরোহন করলো, তারাই নাজাত পেলো।” (সূত্র: তাবলীগ কা মুকামী কাম, পৃ:৩৯; ভ্রান্তির বেড়াজালে বর্তমান তাবলীগ জামাত, পৃ:১২)
উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে হাদীছ শরীফ উনার বিকৃতি। প্রকৃত হাদীছ শরীফে হচ্ছে, “নিশ্চয়ই আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়। এতে যারা আরোহন করেছে তারাই মুক্তি পেয়েছে, এবং যারা আরোহন করে নাই, অর্থাৎ বিরোধিতা করেছে তারা ধংস হয়েছে।” (মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা নং-৫৭৩)
এমন দৃষ্টান্ত বহু আছে, যা প্রকাশ করতে গেলে কয়েকটা পূর্ণাঙ্গ কিতাব হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত বলতে হয়, তাদের কথিত বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছরই দেখা যায়, ইউনিলিভার, বাটা’র মতো বিভিন্ন ইহুদী মালিকানাধীন কোম্পানি স্পন্সর করে। এছাড়াও কাদিয়ানী কোম্পানি প্রাণ গ্রুপ ফ্রি পরিবহন সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে। একমাত্র সমগোত্রীয় ছাড়া মুসলমানদের কোনো অনুষ্ঠানে কাফিরদের স্পন্সর ও সহযোগিতা কখনোই স্বাভাবিক নয়।
তৃতীয়ত, তাবলীগের প্রধান আমির নিযুক্তসহ বাংলাদেশের তাবলীগীদের প্রধান মারকাজ কাকরাইল নিয়ন্ত্রিত হয় মুশরিকদের আধিপত্যের দেশ ভারতের দিল্লীর নিজামুদ্দীন (মারকাজ) থেকে। সম্প্রতি কাকরাইলে দুটি গ্রুপের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের মধ্যে একটি স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে দেয় তাবলীগেরই আরেক শীর্ষস্থানীয় আমির আবু সায়েদ। তথ্যটি হলো, দিল্লী থেকে নিযুক্ত কাকরাইল মসজিদ কমিটির আমির ও তাবলীগের মজলিসে শূরার সদস্য ও ফায়সাল ওয়াসিফুল ইসলামের সাথে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গোপন কানেকশন আছে।
চতুর্থত, আমরা সবাই জানি, তাবলীগ জামাত কথিত দাওয়াতী কাজে বিশ্বব্যাপী বাধাহীনভাবে বিচরণ করে। এমনকি আমেরিকায় টুইনটাওয়ার হামলার পরে যখন সারা বিশ্বে মুসলমানগণ যার যার দেশে কোণঠাসা হয়ে পড়ে, তখন তাবলীগ জামাতের সদস্যরা বিশাল বিশাল গাট্টি নিয়ে অবাধে এক কাফির দেশ থেকে আরেক কাফির দেশে বাধাহীনভাবে বিচরণ করেছে। শুধু তাই নয়, কট্টর ইসলামবিদ্বেষী এবং মুসলমানদের প্রধান শত্রু ইহুদীদের দেশ ইসরাইলেও তারা কথিত দাওয়াতী কাজের বাহানা দিয়ে আসা যাওয়া করে। ইহুদীদের সাথে গভীর সম্পর্ক না থাকলে পশ্চিমা কাফির দেশগুলোতে এভাবে ফ্রী মুভমেন্ট সম্ভব নয়।
পঞ্চমত, প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টারের মতো বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত কুচক্রী মিডিয়াগুলো তাদের দলভুক্ত ছাড়া কখনোই কোনো ব্যক্তির লেখা ছাপায় না, কিন্তু মোসাদের এজেন্ট তাবলীগের আমির ওয়াসিফুল ডেইলি স্টার পত্রিকার নিয়মিত কলামিস্ট।
উপরোক্ত তথ্য প্রমাণাদিতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, তাবলীগ জামাত আদৌ কোনো নিরীহ, নিষ্কলুষ দল নয়; বরং তারা ইহুদীদের ক্বায়িম-মাক্বাম হয়ে, ইহুদীদেরই নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে।
তাদের এসব খাছলতের সাথে পরিপূর্ণভাবে মিলে যায় প্রচলিত ছয় উছূলী তাবলীগ জামাতের সাথে। তাবলীগীরাও কোনো ঝামেলার মধ্যে জড়ায় না, এমনকি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে কেউ কটূক্তি, ব্যঙ্গবিদ্রƒপ করলেও তার প্রতিবাদ করে না। কোনো অসৎ কিংবা হারাম কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না। তারা ধর্মীয় বিষয়েও কোনো বাহাস কিংবা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হয় না। সাধারণ মানুষ তাদেরকেও খুব নিরীহ মনে করে। কিন্তু এদের কার্যক্রমগুলো যে ইহুদীদের এজেন্ট দ্বারা সঞ্চালিত হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষতো দূরে থাক সাধারণ তাবলীগওয়ালারাও জানে না। কিন্তু সত্য কখনো গোপন থাকে না, প্রকাশ হবেই। তাবলীগীদের মুখোশও ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে।
প্রথমেই ধরা যাক তাদের ইসলাম বিকৃতির নমুনা। তাবলীগ জামাতের বইসমূহে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ বিকৃত করে বহু বর্ণনা রয়েছে, যা তালীমের নামে আগত সদস্যদের মনে-মগজে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। যেমন, তাদের বইয়ে লেখা আছে: “তাবলীগের কাজ হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়, তাতে যারা আরোহন করলো, তারাই নাজাত পেলো।” (সূত্র: তাবলীগ কা মুকামী কাম, পৃ:৩৯; ভ্রান্তির বেড়াজালে বর্তমান তাবলীগ জামাত, পৃ:১২)
উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে হাদীছ শরীফ উনার বিকৃতি। প্রকৃত হাদীছ শরীফে হচ্ছে, “নিশ্চয়ই আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায়। এতে যারা আরোহন করেছে তারাই মুক্তি পেয়েছে, এবং যারা আরোহন করে নাই, অর্থাৎ বিরোধিতা করেছে তারা ধংস হয়েছে।” (মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা নং-৫৭৩)
এমন দৃষ্টান্ত বহু আছে, যা প্রকাশ করতে গেলে কয়েকটা পূর্ণাঙ্গ কিতাব হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত বলতে হয়, তাদের কথিত বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছরই দেখা যায়, ইউনিলিভার, বাটা’র মতো বিভিন্ন ইহুদী মালিকানাধীন কোম্পানি স্পন্সর করে। এছাড়াও কাদিয়ানী কোম্পানি প্রাণ গ্রুপ ফ্রি পরিবহন সেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে। একমাত্র সমগোত্রীয় ছাড়া মুসলমানদের কোনো অনুষ্ঠানে কাফিরদের স্পন্সর ও সহযোগিতা কখনোই স্বাভাবিক নয়।
তৃতীয়ত, তাবলীগের প্রধান আমির নিযুক্তসহ বাংলাদেশের তাবলীগীদের প্রধান মারকাজ কাকরাইল নিয়ন্ত্রিত হয় মুশরিকদের আধিপত্যের দেশ ভারতের দিল্লীর নিজামুদ্দীন (মারকাজ) থেকে। সম্প্রতি কাকরাইলে দুটি গ্রুপের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের মধ্যে একটি স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে দেয় তাবলীগেরই আরেক শীর্ষস্থানীয় আমির আবু সায়েদ। তথ্যটি হলো, দিল্লী থেকে নিযুক্ত কাকরাইল মসজিদ কমিটির আমির ও তাবলীগের মজলিসে শূরার সদস্য ও ফায়সাল ওয়াসিফুল ইসলামের সাথে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গোপন কানেকশন আছে।
চতুর্থত, আমরা সবাই জানি, তাবলীগ জামাত কথিত দাওয়াতী কাজে বিশ্বব্যাপী বাধাহীনভাবে বিচরণ করে। এমনকি আমেরিকায় টুইনটাওয়ার হামলার পরে যখন সারা বিশ্বে মুসলমানগণ যার যার দেশে কোণঠাসা হয়ে পড়ে, তখন তাবলীগ জামাতের সদস্যরা বিশাল বিশাল গাট্টি নিয়ে অবাধে এক কাফির দেশ থেকে আরেক কাফির দেশে বাধাহীনভাবে বিচরণ করেছে। শুধু তাই নয়, কট্টর ইসলামবিদ্বেষী এবং মুসলমানদের প্রধান শত্রু ইহুদীদের দেশ ইসরাইলেও তারা কথিত দাওয়াতী কাজের বাহানা দিয়ে আসা যাওয়া করে। ইহুদীদের সাথে গভীর সম্পর্ক না থাকলে পশ্চিমা কাফির দেশগুলোতে এভাবে ফ্রী মুভমেন্ট সম্ভব নয়।
পঞ্চমত, প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টারের মতো বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত কুচক্রী মিডিয়াগুলো তাদের দলভুক্ত ছাড়া কখনোই কোনো ব্যক্তির লেখা ছাপায় না, কিন্তু মোসাদের এজেন্ট তাবলীগের আমির ওয়াসিফুল ডেইলি স্টার পত্রিকার নিয়মিত কলামিস্ট।
উপরোক্ত তথ্য প্রমাণাদিতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, তাবলীগ জামাত আদৌ কোনো নিরীহ, নিষ্কলুষ দল নয়; বরং তারা ইহুদীদের ক্বায়িম-মাক্বাম হয়ে, ইহুদীদেরই নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন