একদিকে গণতান্ত্রিক অবরোধে সরকারের ‘যেকোনো উপায়ে দমন’ নীতি, আবার বিপরীত দলের ‘অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ’ ক্ষমতায় টিকে থাকার রাজনীতির নামই কী গণতন্ত্র?
বিএনপি জোটের অবরোধের মধ্যে দেশে চলমান নাশকতা ‘যে কোনো উপায়ে দমন’ করতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কঠোরভাবে বলেছেন, “এখানে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নাই, কোনো চিন্তা নাই। যা কিছু হোক সে দায়িত্ব আমি নেব।” (খবর: বিডিনিউজ২৪.কম, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫ঈসায়ী)
অর্থাৎ পুলিশ যদি মনে করে নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করা দরকার, সেটাই নির্দ্বিধায় করতে পারবে। আবার একই দিনে এই দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ চেয়ে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক। নাশকতাকারীদের কঠোর হস্তে দমনে সরকারের এসব বক্তব্য দমন ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও প্রকৃতপক্ষে এই কঠোরতার নেপথ্যে রয়েছে নিজেদের ক্ষমতা পাকা-পোক্ত করার মতলব।
কেননা, অবরোধকারী দলের টার্গেটই হচ্ছে মানুষ মারতে মারতে দেশকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন করা যাতে ক্ষমতাসীন সরকার গদি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, আর নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। বস্তুতপক্ষে, নিরপরাধ মানুষদের হত্যাকারীদের অবশ্যই একই পন্থায় হত্যা করে মারাই উচিত। আগুনে পুড়িয়ে হত্যার বিনিময়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, খুনের বদলে খুন-এটাই হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম। সে অর্থে দুর্বৃত্ত বা হত্যাকারীদের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদ- দেয়া উচিত। তবে গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে হরতাল অবরোধ ডাকা রাজনৈতিক দলের ‘অধিকার’। এই গণতান্ত্রিক অধিকারকে পুঁজি করেই আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল, লংমার্চ, অবরোধ ডাকে। সাম্প্রতিক অবরোধকে কেন্দ্র করে উভয় দলের কঠোর অবস্থান এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীনদের হটাতে দৃঢ়। আর ক্ষমতাসীন সরকার টিকে থাকার লক্ষ্যে ‘যেকোনো উপায়ে দমন’ নীতি বাস্তবায়নে লৌহ মানব ভূমিকায় অটল।
প্রিয় পাঠক! বলার অপেক্ষা রাখে না, এটাই হচ্ছে কথিত উদার গণতন্ত্রের আসল রূপ। এমন গণতন্ত্র থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়।
অর্থাৎ পুলিশ যদি মনে করে নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করা দরকার, সেটাই নির্দ্বিধায় করতে পারবে। আবার একই দিনে এই দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ চেয়ে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক। নাশকতাকারীদের কঠোর হস্তে দমনে সরকারের এসব বক্তব্য দমন ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও প্রকৃতপক্ষে এই কঠোরতার নেপথ্যে রয়েছে নিজেদের ক্ষমতা পাকা-পোক্ত করার মতলব।
কেননা, অবরোধকারী দলের টার্গেটই হচ্ছে মানুষ মারতে মারতে দেশকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন করা যাতে ক্ষমতাসীন সরকার গদি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, আর নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। বস্তুতপক্ষে, নিরপরাধ মানুষদের হত্যাকারীদের অবশ্যই একই পন্থায় হত্যা করে মারাই উচিত। আগুনে পুড়িয়ে হত্যার বিনিময়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, খুনের বদলে খুন-এটাই হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম। সে অর্থে দুর্বৃত্ত বা হত্যাকারীদের শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদ- দেয়া উচিত। তবে গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে হরতাল অবরোধ ডাকা রাজনৈতিক দলের ‘অধিকার’। এই গণতান্ত্রিক অধিকারকে পুঁজি করেই আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল, লংমার্চ, অবরোধ ডাকে। সাম্প্রতিক অবরোধকে কেন্দ্র করে উভয় দলের কঠোর অবস্থান এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীনদের হটাতে দৃঢ়। আর ক্ষমতাসীন সরকার টিকে থাকার লক্ষ্যে ‘যেকোনো উপায়ে দমন’ নীতি বাস্তবায়নে লৌহ মানব ভূমিকায় অটল।
প্রিয় পাঠক! বলার অপেক্ষা রাখে না, এটাই হচ্ছে কথিত উদার গণতন্ত্রের আসল রূপ। এমন গণতন্ত্র থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন