মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত শুধু কাফির-মুশরিকদের উপরেই পড়ে না, বরং ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে সূ’দের উপরেও পড়ে ফলে তারাও ধ্বংস হয়
দেশজুড়ে হারাম ও পাপ কাজের ছড়াছড়ি। একদিক থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক শিক্ষা থেকে মানুষ বঞ্চিত। অপরদিকে হারাম-নাজায়িযকে হালাল-জায়িয বলে বিভ্রান্তি ও কুফরী ছড়াচ্ছে বাতিল বাহাত্তুর ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত আলিম ছুরতধারী ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘সূ’। তাদের চোখের সামনে যখন কোনো পাপ কাজ করে তখন সেখানে বাধা দেয়াতো দূরে থাক, এটা যে হারাম ও পাপ কাজ- একথাটাও জানিয়ে দেয় না। সারাদেশে উৎসব করে যখন পহেলা বৈশাখ, থার্টি ফার্স্ট নাইট, ভ্যালেন্টাইন ডে ইত্যাদি কোনো হারাম কাজ সংঘটিত হয় তখন তারা এ ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা করে না, মুসলমানদের সতর্ক করে না। তখন ছয় উছূলী গাট্টিওয়ালা, ওহাবী, খারেজী, কওমী কিংবা কোনো কথিত ইসলামী দল থেকে ফতওয়া আসে না।
এরা আসলে আলিম ছূরতধারী জাহান্নামী। মহান আল্লাহ পাক তিনি এদের উপরেও লা’নত বর্ষণ করেন। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম উনাকে উনার এক লক্ষ উম্মত ধ্বংস করে দেয়ার সংবাদ জানালেন। তন্মধ্যে ৬০ হাজার উম্মত সরাসরি পাপে লিপ্ত। তখন হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করলেন, “হে বারে ইলাহী! তাহলে বাকি ৪০ হাজার উম্মতকে কোন কারণে ধ্বংস করা হবে?” জাওয়াবে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানালেন, “৪০ হাজার উম্মত ৬০ হাজার পাপীদের সাথে মেলামেশা করে এবং তারা তাদেরকে পাপ থেকে ফিরে থাকার জন্য বলে না। তাই তাদেরকেও ধ্বংস করে দেয়া হবে, এবং ধ্বংস করে দেয়া হলো। (মিশকাত শরীফ)
সুতরাং বর্তমান যুগে যতো উলামায়ে সূ, যারা কোনো হারাম কর্মকাণ্ডে বাধা দেয় না; বরং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ তথা কুফরী কথা বলে বেড়ায়, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে বলে বেড়ায়, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায় তাদের উপরেও মহান আল্লাহ পাক তিনি লা’নত বর্ষণ করেন। যার ফলে দেখা যায়, এরা দুনিয়াতেও লাঞ্ছিত হয়, মারা যাওয়ার সময়েও পচতে পচতে, গলতে গলতে মরে। তাদের লাশ থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়, চেহারা বিকৃতি হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে উলামায়ে ‘সূ’দের হাত থেকে হিফাযত করে হক্বানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের মুবারক সান্নিধ্য লাভ করার তওফীক দান করুন। আমীন।
এরা আসলে আলিম ছূরতধারী জাহান্নামী। মহান আল্লাহ পাক তিনি এদের উপরেও লা’নত বর্ষণ করেন। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম উনাকে উনার এক লক্ষ উম্মত ধ্বংস করে দেয়ার সংবাদ জানালেন। তন্মধ্যে ৬০ হাজার উম্মত সরাসরি পাপে লিপ্ত। তখন হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করলেন, “হে বারে ইলাহী! তাহলে বাকি ৪০ হাজার উম্মতকে কোন কারণে ধ্বংস করা হবে?” জাওয়াবে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানালেন, “৪০ হাজার উম্মত ৬০ হাজার পাপীদের সাথে মেলামেশা করে এবং তারা তাদেরকে পাপ থেকে ফিরে থাকার জন্য বলে না। তাই তাদেরকেও ধ্বংস করে দেয়া হবে, এবং ধ্বংস করে দেয়া হলো। (মিশকাত শরীফ)
সুতরাং বর্তমান যুগে যতো উলামায়ে সূ, যারা কোনো হারাম কর্মকাণ্ডে বাধা দেয় না; বরং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ তথা কুফরী কথা বলে বেড়ায়, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে বলে বেড়ায়, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে বেড়ায় তাদের উপরেও মহান আল্লাহ পাক তিনি লা’নত বর্ষণ করেন। যার ফলে দেখা যায়, এরা দুনিয়াতেও লাঞ্ছিত হয়, মারা যাওয়ার সময়েও পচতে পচতে, গলতে গলতে মরে। তাদের লাশ থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়, চেহারা বিকৃতি হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে উলামায়ে ‘সূ’দের হাত থেকে হিফাযত করে হক্বানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের মুবারক সান্নিধ্য লাভ করার তওফীক দান করুন। আমীন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন